প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সরকার কিডনি রোগীদের চিকিৎসা সেবার পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।
আগামীকাল ১৪ মার্চ বিশ্ব কিডনি দিবস উপলক্ষ্যে দেয়া আজ এক বাণীতে তিনি বলেন, ‘কিডনি রোগে চিকিৎসা অত্যন্ত ব্যয়বহুল। আমাদের সরকার কিডনি রোগীদের চিকিৎসা সেবার পরিধি বৃদ্ধির লক্ষ্যে নানামুখী উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। আমরা স্বাস্থ্য খাতে বাজেটের একটা বড় অংশ কিডনি রোগের চিকিৎসা, ডায়ালাইসিস এবং কিডনি সংযোজন করার ক্ষেত্রে ব্যয় করছি।

অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রতিটি জেলায় কিডনি ডায়ালাইসিস সেবা চালুর উদ্যোগ, স্বল্প মূল্যে ডায়ালাইসিস সেবা এবং কিডনি সংযোজনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশেও ‘বিশ্ব কিডনি দিবস’ পালিত হচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি। এবারের কিডনি দিবসের প্রতিপাদ্য ‘সুস্থ কিডনি সবার জন্য-প্রয়োজন যতœ এবং সর্বোত্তম চিকিৎসা সেবায় সকলের ন্যায় সঙ্গত অগ্রাধিকার’-যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”

আরও পড়ুন:  প্রধানমন্ত্রী জার্মানি যাবেন আজ

তিনি বলেন, কিডনি মানবদেহের একটি অপরিহার্য অঙ্গ। সারা বিশ্বের মতো বাংলাদেশেও বর্তমানে সাধারণ এবং জটিল কিডনি রোগে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়ে চলেছে। আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা কমানোর জন্য স্বাস্থ্য সচেতনতার কোন বিকল্প নাই।

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে দেশের স্বাস্থ্য খাতের প্রসার ও মানোন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ১৯৯৮ সালে দেশের ইতিহাসে প্রথম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করি। স্বাস্থ্যসেবা ও প্রয়োজনীয় গবেষণা কর্মকা- সম্প্রসারিত করতে রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট ও খুলনায় মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চালু করা হয়েছে।’

আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন  সরকার একটি গণমুখী স্বাস্থ্য নীতি প্রণয়ন করেছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ নীতির বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। হাসপাতালের শয্যা সংখ্যা, সাধারণ হাসপাতাল ও বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা এবং বিশেষায়িত চিকিৎসাসেবা বহুগুণে বৃদ্ধি করা হয়েছে। প্রায় সাড়ে ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা প্রদানে নিয়োজিত রয়েছে। কমিউনিটি ক্লিনিক থেকে বিনামূল্যে ৩০ রকমের ঔষধ দেওয়া হচ্ছে। জাতিসংঘ কমিউনিটি ক্লিনিককে ‘দ্য শেখ হাসিনা ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। আমরা সারাদেশে নতুন নতুন মেডিক্যাল কলেজ, ডেন্টাল কলেজ, নার্সিং কলেজ, নার্সিং ইনস্টিটিউট, মেডিক্যাল এ্যাসিসটেন্ট ট্রেনিং স্কুল এবং হেলথ টেকনোলজি ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করেছি।’
প্রধানমন্ত্রী বিশ্ব কিডনি দিবস ২০২৪ উপলক্ষ্যে গৃহীত সকল কর্মসূচির সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *