স্ট্রোকের আগের গোপন সংকেত, অবহেলা করলেই হতে পারে বিপদ

উচ্চ রক্তচাপ নিঃশব্দে বিপদ ডেকে আনে। পুরো সুস্থ মানুষ হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে যাওয়ার ফলে সেরিব্রাল স্ট্রোকে আক্রান্ত হতে পারেন। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের পেছনে থাকে হঠাৎ বেড়ে যাওয়া রক্তচাপ। তাই সময় থাকতে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখা দরকার।

কারণ হঠাৎ রক্তচাপ বেড়ে গেলে বিপদ হতে বেশি সময় নেয় না। মূলত স্ট্রোক একটি হঠাৎ ঘটে যাওয়া মারাত্মক শারীরিক অবস্থা। এর ফলে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ বন্ধ হয়ে যায় বা রক্তক্ষরণ ঘটে। সাধারণত আমরা স্ট্রোকের লক্ষণ হিসেবে মুখ বেঁকে যাওয়া, হাত-পা অবশ হওয়া বা কথা জড়িয়ে যাওয়ার মতো বিষয়কেই জানি।

কিন্তু চিকিৎসকরা বলছেন, এর অনেক আগেই শরীর কিছু অস্বাভাবিক সতর্কবার্তা পাঠায়। অধিকাংশ মানুষই এটি উপেক্ষা করে থাকেন। এই সতর্কবার্তা যদি সময়মতো শনাক্ত করলে স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব।হঠাৎ ও অস্বাভাবিক তীব্র মাথা ব্যথা

আরও পড়ুন:  ”বড়” বনাম “ভালো”-আবু এন এম ওয়াহিদ

যদি হঠাৎ এমন ধরনের মাথা ব্যথা শুরু হয়, যা আগে কখনো হয়নি এবং এটি খুবই তীব্রতর হয়।

তবে তা উপেক্ষা করা বিপজ্জনক হতে পারে। মস্তিষ্কে রক্ত জমাট বাঁধা বা রক্তক্ষরণ শুরু হলে এই ধরনের ব্যথা হতে পারে। অনেক সময় এর সঙ্গে বমি ভাব, মাথা ঘোরা বা দৃষ্টির সমস্যা দেখা দেয়। এসব লক্ষণ দেখা দিলে অবিলম্বে চিকিৎসা নেওয়া জরুরি।অকারণ ও দীর্ঘস্থায়ী হেঁচকি

হেঁচকি সাধাণত অনেকেই গুরুত্ব দেন না।

বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে দীর্ঘস্থায়ী ও অকারণ হেঁচকি স্ট্রোকের পূর্ব লক্ষণ হতে পারে। মস্তিষ্কের মেডুলা অংশ, যা শ্বাস-প্রশ্বাস ও গিলন নিয়ন্ত্রণ করে, সেখানে কোনো সমস্যা দেখা দিলে হেঁচকি থামতে চায় না।অস্বাভাবিক বুকের ব্যথা

আরও পড়ুন:  ফেসবুক ভেরিফায়েড করবেন যেভাবে

অনেকে মনে করেন বুকের ব্যথা মানেই হার্ট অ্যাটাক। কিন্তু সব সময় তা নয়। স্ট্রোকের আগে মস্তিষ্কে রক্তপ্রবাহ কমে গেলে অ্যানজাইনার মতো বুকের চাপ বা ব্যথা অনুভূত হতে পারে। এই ধরনের ব্যথা অবহেলা করলে বিপদ আরো বেড়ে যেতে পারে।

মানসিক চাপে বমি বা বমি ভাব

অতিরিক্ত স্ট্রেসের সময় শরীরে হরমোনের পরিবর্তন ঘটে, যা রক্তনালী সংকুচিত করে এবং রক্ত জমাট বাঁধার ঝুঁকি বাড়ায়। এর ফলে হঠাৎ বমি বা বমি ভাব দেখা যায়। যদি এর সঙ্গে মাথা ঘোরা, ঝাপসা দেখা বা অজ্ঞান হওয়ার মতো লক্ষণ থাকে, তাহলে এটি স্ট্রোকের সতর্ক সংকেত হতে পারে।

এই ধরনের অস্বাভাবিক লক্ষণ দেখা দিলে, তা অবহেলা না করে অবিলম্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। দ্রুত সঠিক চিকিৎসা শুরু হলেই স্ট্রোকের মতো মারণঘাতী অবস্থা অনেকটাই প্রতিরোধ করা সম্ভব।

আরও পড়ুন:  প্রিয়জনকে জড়িয়ে ধরার দিন আজ

সূত্র : আজকাল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *