জাতীয় রপ্তানি পদক পেল ৭৩ প্রতিষ্ঠান

পণ্য রপ্তানিতে অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে গত ২০২০-২১ অর্থবছরের জন্য জাতীয় রপ্তানি ট্রফি (পদক) পেয়েছে ৭৩টি  প্রতিষ্ঠান। ৩২টি শিল্পখাতের ব্যবসায়ীরা এই পদক পেয়েছেন। পুরস্কারপ্রাপ্ত ৭৩টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ২৮টি স্বর্ণ, ২৫টি রৌপ্য এবং ১৯টি ব্রোঞ্জ পদক লাভ করেছে। 

এছাড়া, সর্বোচ্চ রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান বা সর্বাধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব রপ্তানি পদক পেয়েছে হা-মীম গ্রুপের রিফাত গার্মেন্টস লিমিটেড।

বুধবার রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি রপ্তানিকারকদের হাতে পদক তুলে দেন।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যন্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশনের (এফবিসিসিআই) সভাপতি মাহবুবুল আলম এবং রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) ভাইস চেয়ারম্যান এএইচএম আহসান। এছাড়া রপ্তানি পদক প্রাপ্তদের মধ্যে হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ এবং প্রাণ ডেইরি লিমিটেডের পরিচালক উজমা চৌধুরী বক্তব্য দেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, দেশে ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু করা হয়েছে। আরও ৯০টি চালু হবে। বৈশ্বিক অনেক অনেক বড় প্রতিষ্ঠান এখানে বিনিয়োগ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:  পাকিস্তানের নির্বাচন বাতিলের দাবি সুপ্রিম কোর্টে

তিনি বলেন ‘আমি স্বপ্ন দেখি আগামী ২০৩০ সাল নাগাদ আমাদের রপ্তানি ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত হবে।’এর জন্য তিনি পোশাকের বাইরে অন্যান্য সম্ভাবনাময় পণ্য যেমন-আইটি, প্লাস্টিক, চামড়াজাত পণ্য, হালকা প্রকৌশল খাতের ব্যবসায়ীরা এগিয়ে আসবেন বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কেবলমাত্র পোশাক শিল্পের উপর নির্ভর করা যাবে না। রপ্তানিযোগ্য আরও অনেক পণ্য আছে। যত বেশি পণ্য আমাদের রপ্তানিতে অন্তর্ভুক্ত হবে তত বেশি দেশে রপ্তানি করা যাবে। নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে এবং দেশ লাভবান হবে। বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার আয় করা সম্ভব হবে।

টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশের উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনী শক্তি আছে বলে তাঁরা এগিয়ে যাচ্ছেন। উদ্যোক্তারা চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন।

আরও পড়ুন:  বিশেষ মর্যাদার দিন ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব তপন কান্তি ঘোষ বলেন, ব্যবসা করার ক্ষেত্রে যেসব বাঁধা রয়েছে সরকার সেগুলোর সমাধানে কাজ করছে। আমরা রপ্তানি বাড়াতে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য চুক্তি করছি। বহুপাক্ষিক বাণিজ্য সহজ করতে বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার সঙ্গে কাজ করছি।

তিনি আরও বলেন, ২০২৬ সালে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ লাভের পর আরও তিন বছর ইউরোপের বাজারে অগ্রাধিকারমূলক বাণিজ্যিক সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।

অনুষ্ঠানে এফবিসিসিআই সভাপতি মাহবুবুল আলম বলেন, ব্যবসায়ীরা অনেক ক্ষেত্রে কাস্টমস কর্তৃপক্ষের হয়রানির সম্মুখীন হচ্ছেন। এইচএস কোড পরিপালনের নামে ব্যবসায়ীদের জরিমানা করা হচ্ছে। তিনি জরিমানার এই সংস্কৃতি থেকে বেরিয়ে আসার জন্য আহবান জানান।

তিনি বলেন, গত ৫০ বছরে ব্যবসায়ীরা দেশকে অনেক কিছু দিয়েছে। ব্যবসা করার পরিপূর্ণ পরিবেশ দিলে ব্যবসায়ীরা দেশকে অনেক দূর এগিয়ে নিয়ে যাবে।
হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে আজাদ ব্যবসায়ীদের জন্য কাস্টমস প্রক্রিয়া আরও সহজ করার আহবান জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *