মুক্তির পর প্রথম প্রকাশ্যে সাবেক থাই প্রধানমন্ত্রী থাকসিন

থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা বৃহস্পতিবার ব্যাংককে একটি মন্দির পরিদর্শন করেছেন। ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে জেল খাটছিলেন তিনি। কিন্তু আগেভাবেই ছাড়া পান সিনাওয়াত্রা। মুক্তি পাওয়ার পর এটিই তার প্রথম প্রকাশ্যে আসা।

থাকসিন দুইবার থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন। কিন্তু ২০০৬ সালে সেনা অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।

নিজ শহর চিয়াং মাইতে তিনদিনের সফরে যাওয়ার আগে তিনি ব্যাংকক সিটি পিলার শ্রাইনে যান। সেখানে বৃহস্পতিবার ভোর পাঁচটার দিকে তিনি প্রার্থনা করেন। এ সময়ে মন্দিরের সামনে বেশ কিছু মিডিয়া কর্মী ভিড় করেন।

মন্দির থেকে থাকসিন চিয়াং মাইয়ের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এটি তার ঐতিহ্যগত রাজনৈতিক শক্তির ঘাঁটি। এখানে তিনি পরিবার, আত্মীয় স্বজনদের সাথে সাক্ষাৎ করবেন।

এ সময়ে থাকসিনের সাথে ছিল কন্যা পেতংটার্ন ও তার স্বামী। পেতংটার্ন বর্তমানে ফেউ থাই পার্টির প্রধান।

আরও পড়ুন:  চা শ্রমিকদের জন্য ‘মানবিক মজুরি’ ঘোষণার দাবি বিশিষ্টজনের

অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ থাকসিন (৭৪) ১৫ বছরের স্বেচ্ছানির্বাসন শেষে গত আগস্টে দেশে ফিরে আসেন। আসার পর পরই আট বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত থাকসিনকে জেলে পাঠানো হয়।

পুলিশ কর্মকর্তা থেকে টেলিকম টাইকনে পরিণত হয়েছিলেন থাকসিন। তিনি ২০০০ সালের গোড়ার দিকে জনপ্রিয় নীতির জন্যে লাখ লাখ গ্রামীণ জনগণের ব্যাপক ভালোবাসা পান। কিন্ত তিনি দেশের রাজকীয় ও সামরিকপন্থীদের ব্যাপক বিরোধিতার মুখে পড়েন।

প্রতিষ্ঠানপন্থী এবং থাকসিন ও তার মিত্রদের মধ্যে আধিপত্যের এ লড়াই গত দুই দশকের থাই রাজনীতিকে প্রবলভাবে নিয়ন্ত্রণ করছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *