সোনামসজিদ বন্দর দিয়ে ভারত থেকে এলো পেঁয়াজ

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দেওয়ার পর চাঁপাইনবাবগঞ্জর সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে ২টি ভারতীয় ট্রাকে ৬০ টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। রবিবার (৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় দুটি ট্রাকে পেঁয়াজ বন্দরে এসে পৌঁছায় বলে নিশ্চিত করেছেন বন্দর পরিচালনাকারী বেসরকারী অপারেটর প্রতিষ্ঠান পানামা সোনামসজিদ পোর্ট লিংক লিমিটেডের অপারেশন ম্যানেজার কামাল খান। আমদানিকারক দুই প্রতিষ্ঠান হল চাঁপাইনবাবগঞ্জের ওয়েলকাম এন্টারপ্রাইজ ও গৌড় ট্রেডার্স।

সোনামসজিদ উদ্ভিদ সংগনিরোধ কেন্দ্র উপ-পরিচালক (ডিডি) কৃষিবিদ সমীর চন্দ্র ঘোষ বলেন, ‘গত শনিবার (৬ ডিসেম্বর) সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি বা আইপি (ইমপোর্ট পারমিট) ইস্যূর ঘোষণা দেয়।

এরপর কৃষি মন্ত্রণালয় দেশের ৫০ জন আমদানিকারকের প্রত্যেককেই ৩০ টন করে ১ হাজার ৫০০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। এরমধ্যে সোনামসজিদের আমদানিকারক রয়েছেন ৩০ জন। তাদের ৯০০ টন আমদানির অনুমতি  দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন সকল বন্দরের জন্য দেড় হাজার টন আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে।
প্রতিটি আইপি’র মেয়াদ আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত। অর্থাৎ পরবর্তী কোন নির্দেশনা না আসলে আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত এভাবে আমদানি অব্যহত থাকবে। গত ৯ সেপ্টেম্বর এই বন্দর দিয়ে শেষবারের মত পেঁয়াজ আমদানী হয় বলেও জানান ডিডি সমীর চন্দ্র ঘোষ।এদিকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদরের স্থানীয় বাজারে পেঁয়াজ রবিবার সর্বনিম্ন ১০০ থেকে সর্বোচ্চ ১৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে।

আরও পড়ুন:  আ.লীগের যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির সদস্য হলেন আরিফুর রহমান
পাড়া-মহল্লার মুদি দোকান ও গ্রামের বাজারে দাম আরও বেশি। জেলার বৃহত্তম পাইকারী ও খুচরা বাজার জেলা শহরের পুরাতন বাজার (তহা বাজার) সূত্র জানিয়েছে, মান ভেদে পেঁয়াজ বিভিন্ন দরে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে ঢুকতে শুরু করা নতুন মুড়িকাটা পেঁয়াজ ১০০ ও ভাল ছাঁচি পেয়াজ ১৩০ টাকা কেজি খুচরা বিক্রি হচ্ছে। তবে আমদানি শুরু হওয়ায় দাম কমে আসবে বলে ধারণা করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চাঁপাইনবাবগঞ্জের অন্যতম পেঁয়াজ আমদানিকারক মেসার্স সাজ্জাদ এন্টারপ্রাইজ স্বতাধিকারী মাসুদ রানা বলেন, ‘পেঁয়াজ আমদানি অবাধ হলে বাজার নিয়ন্ত্রণ আরো দ্রুত ও সহজ হত।

ভোক্তারা আরও কম দামে পেঁয়াজ কিনতে পারত। জানুয়ারির আগ পর্যন্ত মুড়িকাটা পেঁয়াজ পুরোদমে বাজারে আসবে না।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *