দেশের একমাত্র প্রবাল দ্বীপ সেন্ট মার্টিনের জন্য মহাপরিকল্পনা প্রণয়নের কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে। এর পাশাপাশি বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও স্থানীয়দের বিকল্প আয়ের সুযোগ তৈরির উদ্যোগও নেওয়া হয়েছে।

শুক্রবার পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের  এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দ্বীপের প্রতিবেশ পুনরুদ্ধারের জন্য সেখানে পর্যটন নিয়ন্ত্রণসহ নানা পদক্ষেপ হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া গত এক বছরে পরিবেশ সুরক্ষা, বন ও জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ এবং জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে—সারা দেশের শপিংমলে নিষিদ্ধ পলিথিনের ব্যবহার বন্ধ, অবৈধ ইটভাটা ভাঙা, সীসা কারখানা বন্ধ, শব্দদূষণ রোধে তরুণদের সম্পৃক্ত করা এবং পলিথিনের বিকল্প হিসেবে পাটের ব্যাগ সরবরাহে যৌথ প্রকল্প চালু। বায়ু দূষণ নিয়ন্ত্রণে ‘জাতীয় বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিকল্পনা’ প্রণয়ন করা হয়েছে। ঢাকার সাভার ও আশুলিয়াকে ‘দূষিত বায়ুমণ্ডল’ এলাকা হিসেবে ঘোষণা প্রক্রিয়াধীন। গাজীপুরের গাছা খাল দূষণকারী নয়টি কারখানার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশে ঋণ-বাণিজ্যে এগিয়ে চীন, পিছিয়ে ভারত

বন ও বন্যপ্রাণী সংরক্ষণে কক্সবাজার ও সোনাদিয়ায় ১০ হাজার ৩২২ একর বনভূমি পুনরুদ্ধার এবং পূর্বাচলের ১৪৪ একরকে বিশেষ জীববৈচিত্র্য এলাকা ঘোষণা করা হয়েছে। ইউক্যালিপটাস ও আকাশমনি গাছের চারা উৎপাদন ও রোপণ নিষিদ্ধ হয়েছে। মধুপুর শালবন পুনরুদ্ধার এবং হাতির চলাচলের পথ তৈরির কাজ চলছে।

বন্যপ্রাণী রক্ষায় ১৫৯টি ‘এলিফ্যান্ট রেসপন্স টিম’ গঠন, দেশীয় ময়ূর ফিরিয়ে আনা, বিপন্ন প্রজাতি সুরক্ষা ও জলাভূমিকে অভয়ারণ্য ঘোষণা করা হয়েছে। ২৯৩টি অভিযানে ৫ হাজার ৬৮৪টি প্রাণী উদ্ধার করা হয়েছে। জাতীয় উদ্যান ও ইকোপার্কে প্লাস্টিক ও পিকনিক নিষিদ্ধ হয়েছে।

জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট ফান্ডের আওতায় ৩৫১ কোটি টাকার ৪১টি প্রকল্প অনুমোদিত হয়েছে। ‘বাংলাদেশ ক্লাইমেট ডেভেলপমেন্ট পার্টনারশিপ’ ও চূড়ান্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন:  এবার ১১ দাবি নিয়ে মতিঝিলের রাস্তায় শেয়ারবাজারে বিনিয়োগকারীরা

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এসব উদ্যোগ পরিবেশ রক্ষায় নতুন দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে এবং জলবায়ু সহনশীল টেকসই বাংলাদেশ গড়তে সহায়ক হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *