প্রধান উপদেষ্টাকে ৫ বিষয়ে বলেছে এনসিপি

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পাঁচটি বিষয় তুলে ধরেছে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতিনিধি দল।

শনিবার (২৪ মে) রাতে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম।

এর আগে, শনিবার (২৪ মে) রাত সাড়ে আটটার দিকে এনসিপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনে যমুনায় প্রবেশ করে। সেখানে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক করেন দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামের নেতৃত্বধীন প্রতিনিধি দলটি।

এর আগে, জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। জামায়াতে ইসলামীর দুই সদস্যের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দলের আমির ডা. শফিকুর রহমান। অন্য সদস্য হলেন নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের।

আরও পড়ুন:  প্রধান উপদেষ্টা এবার ৭ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করবেন

পরে সংবাদ সম্মেলনে ডা. শফিকুর রহমান বলেন, সাড়ে ১৫ বছর মানুষ তিনটি নির্বাচনে তার ভোটের অধিকার প্রয়োগ থেকে বঞ্চিত হয়েছে, এবার তারা নিঃসংকোচে নিজেরা সেই অধিকার প্রয়োগ করতে চায় এবং এ সুযোগ পাবে নিশ্চিত হবে।

এ সময় সংস্কার ও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা করলেই সবকিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির।

তিনি বলেন, জামায়াতে ইসলামী কারও কোনো পদত্যাগ চায়নি। প্রয়োজন অনুভব করলে সে বিষয়ে জানানো হবে। প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলোর বৈঠকের মাধ্যমে পুরো অস্থিরতা দূর হবে বলে আমরা আশাবাদী। বিএনপি তাদের মতামত দিয়েছে। আমরা আমাদের মতামত দিয়েছি।

প্রধান উপদেষ্টা তাদের কথা গভীর মনযোগ সহকারে শুনেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, তিনি (প্রধান উপদেষ্টা) বলেছেন যে দেশ আমাদের সবার। তিনি দেশে একটি সুন্দর নির্বাচন দেখতে চান। তিনি যেনতেন নির্বাচন দেখতে চান না। সব দলের কথা শুনে তিনি একটি সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত জানাবেন বলে আমরা মনে করি।

আরও পড়ুন:  বিনিয়োগ সম্মেলন উদ্বোধন প্রধান উপদেষ্টার

নির্বাচন নিয়ে কী আলাপ হয়েছে, এমন প্রশ্নে জামায়াতের আমির বলেন, আমরা শুধু নয়, সবাই সংস্কারের পর নির্বাচন চায়। তবে আমরা সময় বেঁধে দিইনি। সংস্কার শেষ হলে আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্য কিংবা তা না হলে রোজার পরপরই হতে পারে।

এর আগে সন্ধ্যায়, বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *