কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সরকার ধৈর্য ও বিচক্ষণতার সঙ্গে পরিস্থিতি মোকাবিলা করেছে। ছাত্রদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ সহযোগিতা করেছে এবং তাদের দাবির স্মারকলিপি দেওয়ার সুযোগও প্রদান করা হয়েছে।

বুধবার (১৭ জুলাই) জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেন তিনি।

কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো, কিছু গোষ্ঠী আন্দোলনের সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়েছে, যার ফলে কিছু মূল্যবান জীবন অকালে হারিয়ে গেছে। আমি নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আপনজন হারানোর যন্ত্রণা আমি খুব ভালো করেই জানি। যা ঘটেছে, তা মোটেই কাম্য ছিল না। যারা এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে।

প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ভবনের ছাদ থেকে ছাত্রদের নিচে ফেলে দেওয়া হয়েছে, উপাচার্যের বাসভবনে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়েছে, এবং মেয়েদের হলে আক্রমণ ও তাদের লাঞ্ছিত করা হয়েছে। আমি বিশ্বাস করি, যারা কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে জড়িত তাদের সঙ্গে এই সন্ত্রাসীদের কোনো সম্পর্ক নেই।

আরও পড়ুন:  সমরাস্ত্র প্রদর্শনী পরিদর্শন করলেন রাষ্ট্রপতি

তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা ছাত্রদের মধ্যে ঢুকে সংঘাত ও নৈরাজ্য পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে। যারা এই কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত, তাদের চিহ্নিত করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে। হত্যাকাণ্ডসহ যেসব অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেছে, তার বিচার বিভাগীয় তদন্ত করা হবে।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সরকার হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ আদালতে আপিল করেছে এবং আপিল আদালতে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আদালত শিক্ষার্থীদের কোনো বক্তব্য থাকলে তা শোনার সুযোগ সৃষ্টি করেছেন। এই আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের সুযোগ রয়েছে।

তিনি বলেন, এ সুযোগ থাকা সত্ত্বেও রাস্তায় আন্দোলনে নেমে দুষ্কৃতকারীদের সংঘাতের সুযোগ করে দেবেন না। সর্বোচ্চ আদালতের রায় আসা পর্যন্ত ধৈর্য ধরার জন্য আমি সবাইকে বিশেষভাবে অনুরোধ করছি। আমার বিশ্বাস, উচ্চ আদালত থেকে আমাদের ছাত্রসমাজ ন্যায়বিচারই পাবে এবং তাদের হতাশ হতে হবে না।

আরও পড়ুন:  সেন্টমার্টিন থেকে ফেরার পথে ৩০০ পর্যটক নিয়ে জাহাজ বিকল

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *