সেন্ট লুসিয়ায় ২১ জুন সুপার এইটে গ্রুপ ‘টু’ এর ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ইংল্যান্ডের নাটকীয় হারের ঘটনায় ক্রিকেটপ্রেমীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শেষ তিন ওভারে ২৫ রান দরকার থাকা সত্ত্বেও ইংল্যান্ড জয়ী হতে পারেনি, যার মূল কারণ প্রোটিয়া বোলারদের দারুণ বোলিং।
ইংল্যান্ডের ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হয় ইংলিশ ব্যাটারদের। ১০.২ ওভারে ৬১ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় তারা। ফিল সল্ট (৮ বলে ১১), জস বাটলার (২০ বলে ১৭), জনি বেয়ারস্টো (২০ বলে ১৬) এবং মঈন আলী (১০ বলে ১১) সবাই দ্রুত বিদায় নেন।
এরপর হ্যারি ব্রুক এবং লিয়াম লিভিংস্টোন পঞ্চম উইকেটে দলকে সমর্থন দেন এবং জয়ের স্বপ্ন দেখান। ১৭তম ওভারে ওটনেইল বার্টম্যানের বোলিংয়ে ২১ রান তুলে নিয়ে ইংল্যান্ডের জয়কে অনেকটাই নিশ্চিত মনে হচ্ছিল। লিভিংস্টোন ও ব্রুক মিলিতভাবে ২ চার ও ১ ছক্কার মাধ্যমে ৫ বল থেকে ১৭ রান নিয়ে দলকে এগিয়ে নেন।
তবে শেষ তিন ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের কারণে ২৫ রান সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয় ইংল্যান্ড। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৫৬ রানে থেমে যায় ইংলিশদের ইনিংস, আর ৭ রানের জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালের পথে এক পা দিয়ে রাখে।
এই ম্যাচটি ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে গভীর ছাপ ফেলেছে এবং দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের জন্য প্রশংসিত করেছে।
সেন্ট লুসিয়ায় অনুষ্ঠিত সুপার এইটে গ্রুপ ‘টু’ এর ম্যাচে ইংল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে রেখেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৬৪ রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড শেষ ১৮ বলে মাত্র ২৫ রান প্রয়োজন ছিল, কিন্তু কাগিসো রাবাদা ও মার্কো ইয়ানসেনের দারুণ বোলিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়।
১৮তম ওভারে রাবাদা মাত্র ৪ রান দিয়ে লিভিংস্টোনকে আউট করেন। লিভিংস্টোন ১৭ বলে ২ ছক্কা ও ৩ চারের মারে ৩৩ রান করেন। ১৯তম ওভারে ইয়ানসেন ৭ রান দেন। ফলে জয়ের জন্য শেষ ৬ বলে ১৪ রান প্রয়োজন পড়ে। প্রথম বলেই নরকিয়াকে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দেন হ্যারি ব্রুক, যিনি ৩৭ বলে ৭ চারের মারে ৫৩ রান করেন। পরের পাঁচ বল থেকে স্যাম কারান মাত্র একটি চার আদায় করতে সক্ষম হন। ফলে ৭ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় ইংল্যান্ডকে।
দক্ষিণ আফ্রিকার পক্ষে কেশভ মহারাজ ও কাগিসো রাবাদা ২টি করে উইকেট তুলে নেন। এর আগে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে কুইন্টন ডি ককের ৩৮ বলে ৬৫ এবং ডেভিড মিলারের ২৮ বলে ৪৩ রানের ইনিংসে ভর করে প্রোটিয়ারা ৬ উইকেট হারিয়ে ১৬৩ রান সংগ্রহ করে। ইংল্যান্ডের পক্ষে জফরা আর্চার ৪০ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন।
এই জয়ের ফলে দক্ষিণ আফ্রিকা ২ ম্যাচে ২ জয়ে ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ ‘টু’ এর শীর্ষে অবস্থান করছে। ইংল্যান্ড ২ ম্যাচে ১ জয়ে ২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এক ম্যাচ খেলে এখনও জয়হীন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও যুক্তরাষ্ট্র।
