বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ, সমাজসেবক, নারী উদ্যোক্তা সন্দ্বীপের কৃতিসন্তান ড. সালেহা কাদের এর জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন আপা।
কবিগুরু লিখেছেন-তোমারেই করিয়াছি জীবনের ধ্রুবতারা/এ সমুদ্রে আর কভু হব নাকো পথহারা।
যেথা আমি যাই নাকো তুমি প্রকাশিত থাকো,/আকুল নয়নজলে ঢালো গো কিরণধারা ॥
তব মুখ সদা মনে জাগিতেছে সংগোপনে,/তিলেক অন্তর হলে না হেরি কূল-কিনারা।
কখনো বিপথে যদি ভ্রমিতে চাহে এ হৃদি/অমনি ও মুখ হেরি শরমে সে হয় সারা।
কবিগুরু তাঁর জীবনব্যাপী গান-কবিতায় ধ্রুবতারা খুঁজেছেন। আমিও জীবনের ধ্রুবতারার কথা বলছি। তিনি আকাশের কোন ধ্রুবতারা নন। তবে মাটির ফুল তিনি। যার সঙ্গে আমার এক আকাশের সম্পর্ক। সত্যি আকাশের মতো বিশাল তাঁর মন। যাকে দেখে শিখি কিভাবে কঠিন সময়ে হাসতে হয়। শিখি, কীভাবে অকৃপণভাবে মানুষকে ভালোবাসতে হয়। তার মাঝে এমন অনেক গুণ আছে যা যে কোনো মানুষকে আকৃষ্ট করবে নিমিষেই। তিনি সুহাসিনী, রুপশ্রী।
সব সময় তার মুখে হাসি লেগেই থাকে। এমন কোমল মনের মানুষের সঙ্গে পথ চলতে কে না চায়। আপা তেমন এক মানুষ যাঁর সান্নিধ্য আমাদের সার্বক্ষণিক মোহিত করে রাখেন।
জীবনচলার পথে প্রতিটি পদক্ষেপে এই মানুষটির স্নেহছায়া, আদর, শাসন আর নিখাদ ভালোবাসা আমাকে পথ চলতে অনুপ্রাণিত করে। ভালোবাসা আর মমত্ববোধ যেন তাঁর সমার্থক নাম।
সামান্য শব্দ দিয়ে তাঁকে মূল্যায়ন করা কঠিন। মানুষের বিপদে-আপদে, মানবিক কাজে তাঁকে আমরা সমানভাবে কাছে পাই। এক্ষেত্রে তিনি অপ্রতিদ্বন্দ্বী, একেবারে আলাদা।
আপনার ভালোবাসার কাছে চিরদিন ঋণী। প্রতিনিয়ত তিনি জন্মস্থান সন্দ্বীপের কথা ভাবেন। নীরবে নিভৃতে মানব সমাজে দ্যুতি ছড়িয়ে যাচ্ছেন। এমন একজন মানবিক হৃদয়সম্পন্ন মানুষের পাশে থাকতে পারাটাও আনন্দের। আজ এই শুভক্ষণে আপনার জন্য আমার অফুরান ভালোবাসা।
শত শতায়ু হও হে রঙিন মানব, অবলোকন করো আরও কিছু বসন্ত। অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপনার জন্যে। সহস্র বছর বেঁচে থাকুন মানবহৃদয়ে।