বেক্সিমকো পার্কের লে-অফ করা ১৪ প্রতিষ্ঠান ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বন্ধ: শ্রম উপদেষ্টা

‘আগামী শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফ করা ১৪ প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হবে। একইসঙ্গে ওই প্রতিষ্ঠানগুলোর সংশ্লিষ্ট সব শ্রমিক ও কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যত ধরনের পাওনা আছে তা আগামী ৯ মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

বৃহস্পতিবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলোর শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের কমিটির এক সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন এ কথা জানান।

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফ করা ১৪টি প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণ বন্ধ ঘোষণা করা হবে। সংশ্লিষ্ট সব শ্রমিক ও কর্মচারীদের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত যাবতীয় পাওনাদি আগামী ৯ মার্চ থেকে পর্যায়ক্রমে পরিশোধের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন:  ভারতের স্থলবন্দর দিয়ে পোশাকসহ বিভিন্ন পণ্য প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের লে-অফ করা ১৪টি প্রতিষ্ঠান বন্ধের জন্য ৩১ হাজার ৬শ ৬৯ জন শ্রমিক এবং ১ হাজার ৫শ ৬৫ জন কর্মকর্তার পাওনা বাবদ মোট ৫শ ২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকা প্রয়োজন জানিয়ে উপদেষ্টা বলেন, এরমধ্যে অর্থ বিভাগের পরিচালন ব্যয় খাত থেকে ৩শ ২৫ কোটি ৪৬ লাখ এবং শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন কেন্দ্রীয় তহবিলের বিভিন্ন হিসাব থেকে ২শ কোটি টাকা ঋণ দেওয়ার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শ্রমিক ও কর্মকর্তাদের পাওনা পরিশোধে কোনো ব্যাংকের কাছ থেকে টাকা পাওয়া যায়নি জানিয়ে তিনি বলেন, সব ব্যাংক প্রত্যাখ্যান করেছে যে, ‘স্যারকে আর টাকা দেওয়া যাবে না’। সম্পূর্ণ হিসাব-নিকাশে যেটা এসেছে সেই টাকা আমরা জোগাড় করতে পেরেছি। ৫শ ২৫ কোটি ৪৬ লাখ টাকার প্রয়োজন হবে। সেই টাকার সংস্থান হয়েছে। ইনশাআল্লাহ আগামী মার্চের ৯ তারিখ থেকে যার যার পাওনা পরিশোধ শুরু হবে।

আরও পড়ুন:  আবদুল হামিদের দেশত্যাগের ঘটনা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি

শ্রম উপদেষ্টা বলেন, বেক্সিমকো পার্কের বন্ধ প্রতিষ্ঠানগুলোর সম্পর্কে পরবর্তী করণীয় নির্ধারণের লক্ষ্যে একটি কমিটি করা হয়েছে। এ কমিটির আহ্বায়ক প্রধান উপদেষ্টার আন্তর্জাতিক বিষয় সংক্রান্ত বিশেষ দূত (উপদেষ্টা পদমর্যাদায়) লুৎফে সিদ্দিকী।

বেক্সিমকোর সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে উপদেষ্টা বলেন, দয়া করে আপনারা এমন কিছু করবেন না, যে কারণে আমাদের কঠোর হতে হয়। আমরা কঠোর হতে চাই না। সঙ্গে আমি শ্রমিকদের অনুরোধ করবো, ওনারা যাতে পরিস্থিতিটা বোঝেন। আপনারা প্রত্যেকেই দেশপ্রেমিক। অনেকের সঙ্গে দেখা হয়েছে, অনেকের সঙ্গে দেখা হয়নি। যাদের সঙ্গে দেখা হয়নি, তাদের আমি সময়মতো ডাকবো। আপনার এমন কিছু করবেন না বা এমন কিছু করতে দেবেন না, যার কারণে আবার সমস্যার সৃষ্টি হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *