কানাডার দেওয়া অল্প রানকেও সহজভাবে নেওয়ার সুযোগ ছিল না পাকিস্তানের। ২ ম্যাচ হারা দলটির আত্মবিশ্বাস যখন তলানিতে, তখন পথ দেখালেন অভিজ্ঞ ব্যাটাররা। বাবর আজম এবং মোহাম্মদ রিজওয়ানের ব্যাটে বিশ্বকাপে প্রথম জয়ের দেখা পেল পাকিস্তান

মঙ্গলবার (১১ জুন) নাসাউয়ের কাউন্টি স্টেডিয়ামে কানাডার বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। প্রথম ২ ম্যাচ হারের পর তৃতীয় ম্যাচে কানাডাকে সাত উইকেটে হারিয়েছে বাবর আজমের দল। কানাডার দেওয়া ১০৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১৫ বল হাতে রেখে জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান।

এই ম্যাচ জিতে বিশ্বকাপে টিকে থাকার আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান। প্রথম দুই ম্যাচে হারলেও একটি ম্যাচ জিতেই পয়েন্ট টেবিলের তিনে উঠে এসেছে বাবরের দল। শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকে বড় ব্যবধানে হারাতে পারলে সুযোগ তৈরি হতে পারে সুপার এইটে ওঠার। তবে সেক্ষেত্রে কয়েকটি ম্যাচের ফলাফল আসতে হবে বাবরদের পক্ষে।

আরও পড়ুন:  ড. ইউনূসের কূটনীতিতে বিস্মিত-বিরক্ত-বিচলিত ভারত

রান তাড়ায় নেমে দেখেশুনে খেলেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার। প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলতে নামা সাইম আইয়ুবকে রানের জন্য লড়াই করতে হয়েছে বেশ। একপ্রান্তে রিজওয়ান ঠাণ্ডা মাথায় খেলে গেলেও ধৈর্য রাখতে পারেননি তিনি। চতুর্থ ওভারে বড় শট মারতে গিয়ে কিপারের হাতে ধরা পড়েন তিনি।

বিশ্বকাপে ব্যাট তেমন না হাসলেও কানাডার বিপক্ষে এই ম্যাচে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন বাবর আজম। কঠিন এই পিচে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বেশকিছু শট খেলেন পাকিস্তান অধিনায়ক। চাপটা কমে আসার পর সিঙ্গেল-ডাবল নিয়ে খেলাটা আরও কাছাকাছি নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। ৩৩ বলে ৩৩ রান করে বাবর যখন আউট হন, পাকিস্তান তখন জয় থেকে ২৪ রান দূরে।

ফর্ম ধরে রেখে এই ম্যাচেও দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন রিজওয়ান। কঠিন পিচে ব্যাট করতে নেমে ৫৩ বলে ৫৩ রান করেছেন এই ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছেড়েছেন তিনি। এর আগে ব্যাট করতে নেমে কানাডাকে লড়াকু পুঁজি এনে দেওয়ার নায়ক অ্যারন জনসন। দলের অন্য ব্যাটাররা আসার যাওয়ার মাঝে থাকলেও একাই পাকিস্তানি বোলারদের শাসন করেছেন তিনি। শুরু থেকে চার-ছক্কার মারে আতঙ্কিত করেছেন শাহিন-রউফদের। যে পিচে বল প্রতি রান করাও দুরুহ, সেখানে ৩৯ বলে ৪ ছক্কা ও ৪ চারের মারে ফিফটি তুলে নেন তিনি।

আরও পড়ুন:  চলতি বছরের শেষ নাগাদ নির্বাচনের পরিকল্পনা আছে: প্রধান উপদেষ্টা

ফিফটি তোলার পর অবশ্য বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি তিনি। ৪৪ বলে ৫২ রান করে নাসিম শাহর বলে বোল্ড হন তিনি। দলের খাতায় তখন ৬ উইকেট হারিয়ে ৭৩ রান। শেষদিকে সাদ বিন জাফরের ২১ বলে ১০, কালিম সানার ১৪ বলে ১৩ ও দিলন হেইলিগারের ১১ বলে ৯ রানে ভর করে শতরান পার করে কানাডা।

পাকিস্তানের পক্ষে দারুণ বোলিংয়ে মাত্র ১৩ রান খরচায় ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির। ২ উইকেট নিলেও ২৬ রান খরচ করেন আরেক পেসার হারিস রউফ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *