সহজ ম্যাচটাকে কঠিন করে ভারতের বিপক্ষে হারল পাকিস্তান। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১৯তম ম্যাচে ১২০ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ভারতের কাছে ৬ রানে হেরেছে পাকিস্তান।
প্রথমে ব্যাট করে পাকিস্তানের সামনে মাত্র ১২০ রানের লক্ষ্য রাখতে পেরেছিল ভারত। এক পর্যায়ে ২ উইকেট হারিয়ে সত্তর রান পার করে জয়ের পথেই ছিল পাকিস্তান। তবে শেষের দিকে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় মাচ হারল বাবর আজমের দল।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৩ রানের বেশি করতে পারল না পাকিস্তান। ম্যাচে হার দেখেছে ৬ রানের। এই হারে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পাকিস্তানের সুপার এইটে খেলার স্বপ্নও পড়েছে শঙ্কায়। কারণ ‘এ’ গ্রুপে শীর্ষস্থানে থাকা ভারতের পরই আছে যুক্তরাষ্ট্র, যাদের বিপক্ষে হেরেছে পাকিস্তান। কানাডাকেও হারানো দলটি আয়ারল্যান্ডকে হারাতে পারলেই পৌঁছে যাবে সুপার এইটে।
১২০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পাকিস্তানের কোনো ব্যাটারই ইতিবাচক ব্যাট করতে পারেননি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৩১ রান করা মোহাম্মদ রিজওয়ান বল খেলেছেন ৪৪টি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২৩ বলে ১৫ রান করেছেন ইমাদ ওয়াসিম।
ভারতের হয়ে দুর্দান্ত বল করেছেন জাসপ্রিত বুমরাহ ও হার্দিক পান্ডিয়া। ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে বুমরাহর শিকার ৩ উইকেট। সমান ওভারে ২৪ রান খরচায় হার্দিকের শিকার ২ উইকেট।
নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ভেজা আউটফিল্ডের কারণে আজ নির্ধারিত সময়ের চেয়ে আধা ঘণ্টা পর হয় টস। তবে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায়ও খেলা শুরু করা যায়নি। কিছুক্ষণ পর মাঠে নামলে প্রথম ওভার শেষ করার পর আবারও হানা দেয় বেরসিক বৃষ্টি। কিছুক্ষণ পর আবারও খেলা শুরু হয়।
এদিন ভেজা মাঠের পূর্ণ সুবিধা তুলে নিয়েছেন পাকিস্তানের পেসাররা। দ্বিতীয় ওভারে দলীয় মাত্র ১২ রানেই বিরাট কোহলিকে ফেরান তরুণ নাসিম শাহ। দলীয় ১৯ রানে ফেরেন দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দেওয়া রোহিত শর্মাও। শাহিন আফ্রিদির বলে পরাস্ত হয়েছেন ভারত অধিনায়ক। এরপর জুটি বেধে ভারতকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করেছেন ঋষভ পান্ত ও অক্ষর প্যাটেল। যদিও ব্যাটিংয়ে মোটেও স্বাচ্ছন্দ্যে ছিলেন না তারা। পাকিস্তানের ফিল্ডিং ব্যর্থতায় দুজনে গড়েন ৩৯ রানের জুটি। অষ্টম ওভারের চতুর্থ বলে দলীয় ৫৮ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে ফেরেন অক্ষর (১৮ বলে ২০)। প্রথম ১০ ওভারে এই তিন উইকেট হারিয়েই ৮১ রান করে ভারত।
নিজেদের ইনিংসের প্রথম অর্ধেকে ভালো রান করে বড় সংগ্রহের স্বপ্নই দেখেছিল ভারত। তবে নাসিম-হারিস রউফ-মোহাম্মদ আমিরদের তোপে ভেস্তে যায় সেই স্বপ্ন। ৮৯ রানের মাথায় রউফের বলে চতুর্থ ব্যাটার হিসেবে ফেরেন সূর্যকুমার যাদব। দলীয় সংগ্রহ এক শ পূর্ণ হওয়ার আগে আরও ৩ উইকেট হারায় ভারত। শিভাম দুবেকে নাসিম ফেরানোর পর আমিরের তোপে উইকেট বিলিয়ে আসেন পান্ত (৪২) ও রবীন্দ্র জাদেজা। শেষের দিকে হারিস রউফের তোপে টেকেননি হার্দিক পান্ডিয়া-জাসপ্রিত বুমরাহও। তাতে এক ওভার বাকি থাকতেই ১১৯ রানে অলআউট হয় ভারত।
একটি রানআউট বাদে ভারতের নয়টি উইকেটই ভাগ করে নেন পাকিস্তানের চার পেসার। এর মধ্যে সবচেয়ে সফল নাসিম ও রউফ। ৪ ওভারে ২১ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন নাসিম। এক ওভার কম বল করে সমান সংখ্যক উইকেট নেন রউফ। এছাড়া আমির ২টি ও শাহিন নেন একটি উইকেট।