ঈদের ছুটি তিন দিনই থাকছে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি আজ বিকেলে সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে আয়োজিত প্রেফ ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান। এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয় মন্ত্রিসভার বৈঠক। 

মাহবুব হোসেন বলেন, মন্ত্রিসভার  বৈঠকে জানানো হয় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী পবিত্র ঈদুল ফিতরের আগে ৮ ও ৯ এপ্রিল অফিস খোলা থাকবে। তার মানে আগের ঘোষণা অনুযায়ী  ঈদের ছুটি তিনদিন থাকবে।
তিনি জানান, “ক্যালেন্ডারে যেভাবে আছে সেভাবেই থাকবে। অর্থাৎ ৮ ও ৯ এপ্রিল সরকারী অফিস খোলা থাকবে। তবে যারা ছুটি নিতে চান, তারা তাদের ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারবেন।”

মাহবুব হোসেন বলেন, বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা পাওয়ার বিদ্যমান শর্ত কিছুটা শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এই ধরনের নারীদের মধ্যে যাদের বছরে আয় ১৫ হাজার টাকার নিচে, তাঁরা এই ভাতার সুযোগ পাবেন। এত দিন ১২ হাজার টাকার নিচে হলে এই ভাতা পাওয়া যেত।

আরও পড়ুন:  ‘যত টাকা লাগে দেব, আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষায় বাংলাদেশ গড়বো’

আজ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ‘ বিধবা ও স্বামী নিগৃহীতা ভাতা কর্মসূচি বাস্তবায়ন নীতিমালা-২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। তাতে ওই শর্ত শিথিল করা হয়েছে। বর্তমানে সারা দেশে ২৫ লাখ ৭৫ হাজার নারীকে মাসে ৫৫০ টাকা করে দেয়া হয়।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, আগের নীতিমালা অনুযায়ী এই ভাতা পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে বলা ছিল, তাঁর ব্যক্তিগত বার্ষিক আয় ১২ হাজার টাকার নিচে হতে হবে। এখন ১৫ হাজার টাকার কম যাদের আয় তারা এর আওতায় আসতে পারবেন। তবে ভাতার পরিমাণ এখনকার মতোই ( মাসে ৫৫০টাকা) টাকাই থাকছে।

তিনি বলেন, এখন এই ভাতার টাকা মোবাইল আর্থিক সেবার মাধ্যমে জি টু পি (সরকার থেকে সরাসরি ব্যক্তি) পদ্ধতিতে দেয়ার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। আর অনলাইনে আবেদন ও বাছাইয়ের বিষয়টিও প্রাতিষ্ঠানিক করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার বৈঠকে ‘আমদানি ও রপ্তানি আইন-২০২৪ এর খসড়া নীতিগত অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এটি মূলত ইমপোর্ট ও এক্সপোর্ট (কন্ট্রোল) অ্যাক্ট-১৯৫০ এর আলোকে করা হয়েছে। ওই অ্যাক্টে কেবল পণ্যের কথা ছিল। প্রস্তাবিত আইনে তার সঙ্গে সেবাও যুক্ত করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:  গণভবনে ডাক পেলেন সংরক্ষিত আসনে আ. লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশীরা

এ ছাড়া আরও তিনটি আইনের খসড়া মন্ত্রিসভায় অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এগুলো গত বছরই মন্ত্রিসভায় অনুমোদন হয়েছিল। কিন্তু জাতীয় সংসদে বিল পাস না হওয়ায় নিয়ম রক্ষার জন্য আবারও মন্ত্রিসভার অনুমোদন নিতে হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইন তিনটি হলো পরিশোধ ও নিষ্পত্তি ব্যবস্থা আইন-২০২৪,  বিদেশি স্বেচ্ছাসেবাী সংস্থা (স্থাবর সম্পত্তি অর্জন নিয়ন্ত্রণ) আইন ২০২৪ এবং বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (সংশোধন) আইন, ২০২৪।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *