রাজধানীর বেইলি রোডের আগুনে দগ্ধ ৫ জন এখনও আশঙ্কার মধ্যে। শেখ হাসিনা বার্ন ইনিস্টিটিউট পরিদর্শন শেষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানান, আশংকামুক্ত হওয়ায় ছয়জনকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। এদিকে, এ ধরনের অগ্নিকান্ডে যাদেরই গাফিলতি থাকবে তাদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।
শনিবার সকালে বার্ন ইন্সিস্টিটিউটে দগ্ধদের দেখতে আসেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। পরে তিনি জানান, আহতদের ৫ জন শংকামুক্ত নয়, তাদের শ্বাসনালীসহ বিভিন্ন স্থান পুড়ে গেছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসায় ১৭ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে। এ বোর্ডের প্রধান হিসেবে রয়েছি আমি। দগ্ধ ১১ জন রোগীর মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছি, ৬ জনকে ছেড়ে দেবো। আর ৫ জন থাকবে।
তিনি বলেন, যাদেরকে ছেড়ে দেবো, তারা মোটামুটি ভালো আছেন। আর বাকি যে ৫ জন থাকবেন, তারা কেউ শঙ্কামুক্ত নন। যারা আছেন, তাদেরকে আমরা আরও পর্যালোচনা করে কয়েক দিন পর সিদ্ধান্ত নেবো কী করা যায়।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রিন কোজি কটেজের ম্যানেজারকে আটক করেছে পুলিশ। বেইলি রোডের এই ভবনের আগুনে প্রাণ গেছে ৪৬ জনের। পুড়ে কয়লা হয়ে যাওয়া ভবনটি এখনও ঘিরে রেখেছে পুলিশ।
এদিকে,সকালে ভবনটি পরিদর্শন করেন এফবিসিসিআই ও বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির নেতারা। ভবন পরিদর্শন শেষে তারা জানান, সব পক্ষেরই গাফিলতি রয়েছে। ভবন মালিক, রেস্টুরেন্ট মালিক, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না।
গাফিলতি যাদেরই থাকবে তাদেরকেই আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ব্যবসায়ীরা।
আজ সকালে ঢাকা মেডিকেলের মর্গ থেকে নিহত তিনজনের মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।







