বার্তাসংস্থা এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনার অভিযোগ, ”ইউনূস সরকার ভারতের বিরুদ্ধে প্রতিকূল বিবৃতি দিচ্ছে এবং ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে পারছে না।”
হাসিনা বলেছেন, ”ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক যে খারাপ হয়েছে, তার পুরো দায় ইউনূসের। তার সরকার ভারতের বিরুদ্ধে শত্রুতাপূর্ণ বিবৃতি দিয়েছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের রক্ষা করতে পারেনি, কট্টরপন্থিদের কথায় পররাষ্ট্র নীতি ঠিক করা হচ্ছে। তারপর টেনশন বাড়লে তিনি অবাক হচ্ছেন। ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থেকেছে এবং দশকের পর দশক ধরে তারা বাংলাদেশের বন্ধু। আমি নিশ্চিত, যখন বৈধ সরকার হবে, তখন দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক স্বাভাবিক হবে। আমরা গত ১৫ বছরের বেশি সময় ধরে এই নীতি নিয়েই চলেছি।”
শেখ হাসিনা বলেছেন, ”এখন যে শত্রুতাপূর্ণ অবস্থা তৈরি হয়েছে, তা কট্টরপন্থিরা করেছে, আর তাদের সমর্থন করছে ইউনূস সরকার। এই কট্টরপন্থি শক্তিই ভারতীয় দূতাবাসে মিছিল করে গেছে, সংবাদপত্রের অফিস আক্রমণ করেছে, ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করছে এবং তারাই আমাকে ও আমার পরিবারকে দেশ ছাড়তে বাধ্য করেছে। ইউনূস এদেরকে ক্ষমতায় বসিয়েছে এবং শাস্তিপ্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদীদের জেল থেকে ছেড়েছে। আমি দুঃখের সঙ্গে বলতে বাধ্য হচ্ছি, ভারতীয়দের নিয়ে ভারত সরকারের উদ্বেগ স্বাভাবিক। দায়িত্বশীল সরকার দূতাবাসগুলিকে রক্ষা করে, যারা এগুলির ক্ষতি করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়।”
সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে অত্যাচার ও হত্যা নিয়ে হাসিনার মত হলো, ”সহিংসতা এখন অন্তর্বর্তী সরকারের আমলে নিয়মে পরিণত হয়েছে। সরকার হয় এই সহিংসতার বিষয়টি অস্বীকার করে অথবা তাদের কাছে এটা থামাবার কোনো ক্ষমতা নেই। এই ধরনের ঘটনা প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ককে অস্থির করে তুলছে। যখন সীমান্তে ন্যূনতম শৃঙ্খলা বজায় রাখতে পার না, তখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তোমার বিশ্বাসযোগ্যতা ভেঙে পড়ে। এটাই ইউনূস সরকারের সঙ্গে হয়েছে।”







