শনিবার (২০ ডিসেম্বর) ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির দাফন শেষে সন্ধ্যায় রাজধানীর শাহবাগে জনগণের সামনে ইনকিলাব মঞ্চের সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল জাবের এই আল্টিমেটাম ঘোষণা করেন।
এরপর আগামীকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৫টায় পুনরায় শাহবাগে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করে শাহবাগ ছাড়েন ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা।
একই সঙ্গে আগামীকাল বিকেলের মধ্যে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সহকারী উপদেষ্টাকে জনগণের সামনে এসে জবাবদিহি করতে বলেন তিনি।
তিনি বলেন, ওসমান হাদির রক্তের মধ্য দিয়ে ঘোষণা দিচ্ছি-খুনিদের সঙ্গে কোনো সুশীলতা নেই। টকশোতে যারা খুনিদের পক্ষে কথা বলবে, তাদের সঙ্গে আমরা নেই।
তিনি আরও বলেন, তারা মনে করছে, এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক দলের নেতাকে হত্যা করলে তেমন কোনো ইমপ্যাক্ট তৈরি হবে না। কারণ জনগণের বিশ্বাস তাদের ওপর থেকে সরে গেছে। শুধুমাত্র ওসমান হাদিই ছিল জনতার কণ্ঠস্বর-বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক, জুলাই জাগরণের প্রাণ। সুতরাং তাকে হত্যা করা হলে আওয়ামী লীগকে ব্যাক করা যাবে-তারা এমনটাই মনে করছে।
জাবের বলেন, বাংলাদেশে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো গত ১৭ বছরে কেউ যদি মাটির ৪০ ফুট নিচে লুকিয়েও থাকে, তাকে বের করেছে। তাহলে এখন তারা পারছে না কেন-এসব বুঝিয়ে লাভ নেই। আগামী দুই-এক দিনের মধ্যে গুম কমিশনের একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হবে। যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পক্ষে কথা বলেছিল, যাদের গুম করা হয়েছে, খুন করা হয়েছে, সীমান্তে ভাসিয়ে দেওয়া হয়েছে, সেসবের প্রতিবেদন প্রকাশ পাবে। তাই দেশের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আমাদের শান্ত থাকতে হবে।
এ সময় তিনি ভাঙচুরে না জড়ানোর জন্য জনগণের প্রতি আহ্বান জানান।






