প্রস্তাব অনুমোদন, বাংলাদেশিদের জন্য ইউরোপে আশ্রয় কঠিন হচ্ছে

ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) আইনপ্রণেতারা অভিবাসন নীতি কঠোর করার পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। অভিবাসন নীতি আরো কড়াকড়ি করার লক্ষ্যে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে বুধবার দুটি প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। এতে সমর্থন দিয়েছে ডানপন্থী ও কট্টর ডানপন্থী আইনপ্রণেতাদের জোট।

অনুমোদিত দুটি প্রস্তাবের একটিতে আছে বাংলাদেশ প্রসঙ্গ। পদক্ষেপটি হলো ইউরোপীয় ইউনিয়ন যেসব দেশকে ‘নিরাপদ’ হিসেবে বিবেচনা করে, সেসব দেশের তালিকা তৈরি করা। তালিকাভুক্ত দেশের নাগরিকদের জন্য ইইউ ব্লকে আশ্রয়ের দাবি কঠিন হয়ে যাবে।

তালিকায় বাংলাদেশসহ আছে কোসোভো, কলম্বিয়া, মিসর, ভারত, মরক্কো ও তিউনিশিয়া। তালিকার অর্থ হলো- ইইউ এসব দেশকে নিরাপদ হিসেবে বিবেচনা করবে। এ কারণে কেউ আশ্রয় লাভের আবেদন করলে তা বিবেচিত হওয়ার প্রক্রিয়া বেশ কঠিন হতে পারে।

আরও পড়ুন:  একসঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন ২৮ রাষ্ট্রদূত

চরম ডানপন্থী আইনপ্রণেতা ফ্যাব্রিস লেগেরি এমন পদক্ষেপকে জরুরি আখ্যা দিয়ে বলেছেন, ‘আমাদের সদস্য দেশগুলোর ওপর ভিত্তিহীন আশ্রয় দাবির চাপ কমানোর জন্য এগুলো প্রয়োজন।’

অনুমোদিত আরেক প্রস্তাব অনুযায়ী, আশ্রয়প্রার্থীদের তৃতীয় কোনো দেশে পাঠানো হতে পারে। সেক্ষেত্রে কেউ ‘নিরাপদ’ তালিকাভুক্ত দেশের বংশোদ্ভূত হয়ে থাকলে তাকে তালিকারই অন্য দেশে পাঠানো হবে।

বামপন্থী আইনপ্রণেতা ড্যামিয়েন কারেমে এমন পদক্ষেপকে ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনির জন্য বড়দিনের উপহার বলে মন্তব্য করেছেন। মেলোনির পরিকল্পনা হলো, তাঁর দেশে আশ্রয়ের আবেদনকারীদের আলবেনিয়ায় পাঠানো হবে। এতদিন এই পরিকল্পনা আইনি জটিলতার মুখে ছিল। কিন্তু ইউরোপীয় পার্লামেন্টে প্রস্তাব অনুমোদন হওয়ায় সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের পথ খুলে যেতে পারে।

মানবাধিকার সংগঠনগুলো ইইউর এই পদক্ষেপের তীব্র সমালোচনা করেছে। তাদের সতর্কবার্তা, তৃতীয় দেশে পাঠানো হলে আশ্রয়প্রার্থীরা গুরুতর ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন। ইউরোপীয় কমিশন জোর দিয়ে বলেছে, যেকোনো দেশেই অভিবাসী পাঠানো হোক না কেন, সেই দেশকে মৌলিক অধিকার রক্ষা করতে হবে।

আরও পড়ুন:  ‘বাংলাদেশের সঙ্গে শিগগিরই অংশীদারত্ব চুক্তি করবে ইইউ’

গত বছর ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোতে প্রায় ১০ লাখ মানুষ আশ্রয়ের আবেদন করেছিল। তাদের মধ্যে সুরক্ষা দেওয়া হয় ৪ লাখ ৪০ হাজার জনকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *