মহান বিজয় দিবস আগামীকাল মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর)। এইদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করা হবে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের। জাতির শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পুরোপুরি প্রস্তুত সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ।
রাষ্ট্রপতি, প্রধান উপদেষ্টা, দেশি-বিদেশি কূটনীতিকসহ সর্বসাধারণের আগমন ঘিরে প্রস্তুত করা হয় জাতীয় স্মৃতিসৌধকে। পুলিশের পক্ষ থেকে নেয়া হয়েছে চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। ঢাকার সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক থেকে শহীদ বেদী পর্যন্ত বাহারি ফুলের বাগান সেজেছে নান্দনিক সাজে।
এ উপলক্ষে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধের ৮৪ একর চত্বরজুড়ে শেষ হয়েছে পরিচ্ছন্নতা ও সৌন্দর্য্যবর্ধনের কাজ। পায়ে হাঁটার পথের লাল ইটের হেরিংবোন প্যাটার্নে সাদা রঙের আঁচড়ে ফুটে উঠেছে শুভ্র ও মনোমুগ্ধকর আভা। পাল্লা দিয়ে সৌন্দর্য্যবর্ধনে কাজ করেন বাগান মালিরা।
গণপূর্ত অধিদফতরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী আনোয়ার খান আনু বলেন, জাতীয় স্মৃতিসৌধের বিভিন্ন স্তরে রঙ করা, চারা রোপণ, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ আনুষঙ্গিক এরইমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। মোতায়েন থাকবে চার হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য।
ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম মল্লিক বলেন, বিজয় দিবসে সার্বিক নিরাপত্তা রক্ষার্থে যা যা করণীয়, আমাদের সব ব্যবস্থা রয়েছে।
গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, ১৯৭২ সালে প্রথম সাভারের নবীনগরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়। এরপর স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেনের নকশায় ১৯৭৮ সালে নির্মাণকাজ শুরু হয়ে শেষ হয় ১৯৮৮ সালে।







