চব্বিশের জুলাই আন্দোলনের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার এক অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিল করেছে প্রসিকিউশন।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিলটি দায়ের করেন তারা। অন্য অভিযোগ হাসিনা-কামালের মৃত্যদণ্ড হলেও এ অভিযোগে তাদের আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল।
দুপুরে ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে হাসিনা-কামালের মৃত্যুদণ্ড চেয়ে আপিলের পর প্রেস ব্রিফিংয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম বলেন, তাদের মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত।
তিনি আরও বলেন, জুলাই-আগস্টে নৃশংসতার গভীরতায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের আমৃত্যু দণ্ড যথেষ্ট নয়।
তামিম বলেন, গত ১৭ নভেম্বর পুনর্গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে প্রথম রায় ঘোষণা হয়েছে। জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘঠিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাজা পেয়েছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এর মধ্যে একটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড ও আরেকটিতে মৃত্যুদণ্ড দেন ট্রাইব্যুনাল। তবে আমৃত্যু দণ্ড বাড়িয়ে মৃত্যুদণ্ডে পরিণত করতে আমরা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আজ আপিল করেছি। এতে আটটি গ্রাউন্ড আনা হয়েছে।
প্রসিকিউটর বলেন, রায় ঘোষণার ৩০ দিনের মধ্যে আপিল করতে হয়। আমরা এর আগেই আপিল করেছি। আপিলের ৬০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তির বিধান রয়েছে। আশা করছি এর মধ্যেই এই আপিলটি নিষ্পত্তি হবে।
তিনি আরও বলেন, এই অপরাধের নৃশংসতার গভীরতার তুলনায় এই আমৃত্যু কারাদণ্ড অপরিপক্ক বা কম হয়েছে। অতএব এ ধরনের হেনিয়াস অফেন্সের (ভয়াবহ অপরাধ) ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডই একমাত্র শাস্তি হওয়া উচিত। এই আইনে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। কারণ তাদের নির্দেশ বা উসকানিতে ১৪০০ এর অধিক মানুষ শহীদ ও ২৫ হাজারের বেশি আহত হন।







