عَنْ جَابِرٍ، قَالَ سَمِعْتُ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم يَقُولُ “ إِنَّ فِي اللَّيْلِ لَسَاعَةً لاَ يُوَافِقُهَا رَجُلٌ مُسْلِمٌ يَسْأَلُ اللَّهَ خَيْرًا مِنْ أَمْرِ الدُّنْيَا وَالآخِرَةِ إِلاَّ أَعْطَاهُ إِيَّاهُ وَذَلِكَ كُلَّ لَيْلَةٍ ” .
জাবির ইবনে আবদুল্লাহ (রা.) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বলতে শুনেছি, সারা রাতের মধ্যে এমন একটি বিশেষ সময় আছে যে সময়ে কোনো মুসলিম আল্লাহর কাছে দুনিয়া ও আখিরাতের কোনো কল্যাণ প্রার্থনা করলে তিনি তাকে তা দান করেন। আর ঐ বিশেষ সময়টি প্রত্যেক রাতেই থাকে।
১. ইমাম নববীর ব্যাখ্যায় রাতের সে ‘সময়’: ইমাম নববী (রহ.) “শরহ্ সাহিহ মুসলিম”-এ বলেন: এই বিশেষ মুহূর্তটি নির্দিষ্ট নয়, বরং তা লাইলাতুল কদরের মত লুকিয়ে রাখা হয়েছে; যাতে মানুষ পুরো রাত জুড়ে আল্লাহর দিকে ফিরে আসতে প্ররোচিত হয়। তিনি আরও বলেন, তবে সবচেয়ে সম্ভাব্য সময় হলো— রাতের শেষ তৃতীয়াংশ, তাহাজ্জুদের সময়, অথবা ফজরের আগে শেষ মুহূর্ত। (শরহ মুসলিম, নববী, ব্যাখ্যা: হাদিস ৭৫৭)
২. ইমাম ইবনে হাজার আল-আসকালানী (রহ.) বলেন: “এই সময়টি এমন, যখন আল্লাহ তাঁর বান্দাদের প্রতি বিশেষ রহমত প্রকাশ করেন এবং তাদেরকে বিশেষভাবে আহ্বান করেন— ‘কে আমাকে ডাকবে, আমি সাড়া দেবো?’” তিনি বলেন, বিভিন্ন হাদিসের সমন্বয়ে বোঝা যায়, সবচেয়ে জোরালো সম্ভাবনা রাতের শেষ তৃতীয়াংশে। (ফাতহুল বারী, ইবনু হাজার, ৩/৩০)
৩. ইমাম ইবনে তায়মিয়া (রহ.) বলেন: “রাতের শেষ অংশ আল্লাহর নৈকট্যের সময়।
৫. ইবনু রাজব আল-হানবালী (রহ.) বলেন: “যে মানুষ রাতের বিভিন্ন অংশে দোয়া, ইস্তিগফার ও কিয়ামুল লাইল করবে, সে অবশ্যই এই বিশেষ মুহূর্তের কোনো না কোনো অংশকে লাভ করবে।
১. প্রত্যেক রাতেই আল্লাহর দরজা খোলা থাকে। এটি কেবল রমজান বা নির্দিষ্ট সময়ে নয়; প্রতিটি রাতে, প্রতিটি মুসলিমের জন্য।
২. রাতের বিশেষ মুহূর্তটি গোপন; যাতে বেশি ইবাদত করা হয়।
৩. দুনিয়া ও আখিরাত; দুই চাওয়া-ই পূরণ হতে পারে। এই হাদিসে দোয়ার সর্বজনীন দরজা খুলে দেওয়া হয়েছে।
৪. তাহাজ্জুদ সময় দোয়া কবুলের সর্বাধিক সম্ভাব্য সময়।
আল্লাহ আমাদের সকল একমাত্র মহান আল্লাহর কাছেই নিজের মনের সকল আবেদন যথা সমযে পেশ করার তাওফিক দান করুন। আমীন।
লেখক: প্রবন্ধিক ও অনুবাদক







