সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগে চাকরিপ্রার্থীদের আগ্রহ ব্যাপক। আবেদন গ্রহণের সময়সীমা ২১ নভেম্বর শেষ হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্যানুযায়ী, এই পদে মোট ৭ লাখ ৪৫ হাজার ৯২৯টি আবেদনপত্র জমা পড়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে শূন্য পদ দেখানো হয়েছিল ১০ হাজার ২১৯টি, ফলে প্রতি পদের জন্য প্রায় ৭৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। দীর্ঘ অপেক্ষার পর প্রকাশিত এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রাথমিক শিক্ষায় বড় পরিসরে নতুন জনবল নিয়োগের প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হলো। লিখিত পরীক্ষা ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।

শিক্ষা অধিদপ্তর জানিয়েছে, প্রথম ধাপে রাজশাহী, রংপুর, সিলেট, খুলনা, বরিশাল ও ময়মনসিংহ বিভাগের শূন্য পদের বিপরীতে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়। অন্যান্য বিভাগের শূন্য পদ পরবর্তী ধাপে অন্তর্ভুক্ত হবে। এর আগে চলতি বছরের ২৮ আগস্ট ‘সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক নিয়োগ বিধিমালা, ২০২৫’ প্রজ্ঞাপন করে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। তিন দিন পর গঠন করা হয় আট সদস্যের কেন্দ্রীয় নিয়োগ কমিটি, যার চেয়ারম্যান প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক। কমিটিতে মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন, উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরো ও সরকারি কর্ম কমিশনের প্রতিনিধিরাও যুক্ত আছেন।

তবে সংশোধিত বিধিমালায় কিছু ত্রুটি থাকার কারণে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে দেরি হয়। পরে ত্রুটি সংশোধন করে ২ নভেম্বর নতুনভাবে বিধিমালা প্রকাশ করে মন্ত্রণালয়। নতুন বিধিমালায় ‘অন্যান্য বিষয়ে’ শব্দের পরিবর্তে ‘বিজ্ঞানসহ অন্যান্য বিষয়ে অন্যূন’ শব্দ সংযোজন করা হয়েছে, যার ফলে বিজ্ঞান বিষয়ের প্রার্থীরাও অগ্রাধিকার পাবেন।

আরও পড়ুন:  মিয়ানমারে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের ভূমিকা বাড়ানোর আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পদোন্নতি ও সরাসরি নিয়োগের নিয়মেও কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদে ৮০ শতাংশ নিয়োগ হবে পদোন্নতির মাধ্যমে, বাকি ২০ শতাংশ সরাসরি। পদোন্নতির ক্ষেত্রে সহকারী শিক্ষক হিসেবে কমপক্ষে ১২ বছরের চাকরির অভিজ্ঞতা, মৌলিক প্রশিক্ষণ ও চাকরি স্থায়ীকরণ প্রয়োজন। অন্যদিকে সহকারী শিক্ষক ও প্রধান শিক্ষক—উভয় পদের সরাসরি নিয়োগে স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি বা সমমানের সিজিপিএসহ স্নাতক বা স্নাতক (সম্মান) ডিগ্রি বাধ্যতামূলক। শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে তৃতীয় বিভাগ বা সমমানের ফল গ্রহণযোগ্য নয়। সরাসরি নিয়োগের ক্ষেত্রে বয়সসীমা ৩২ বছর নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের একটি সূত্র জানিয়েছে, আবেদন যাচাই-বাছাই শেষে লিখিত পরীক্ষা ২০২৬ সালের জানুয়ারি মাসে হতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *