বাংলাদেশের ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইমস ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের এশিয়া বিষয়ক উপপরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলি বলেন, ‘বাংলাদেশে হাসিনার কঠোর শাসনের বিরুদ্ধে ক্রমাগত ক্ষোভ ও বেদনা রয়েছে। তবে সব আইনগত প্রক্রিয়াকে আন্তর্জাতিক ন্যায্য বিচারের মানদণ্ড মেনে পরিচালিত হতে হবে। হাসিনার শাসনামলে যারা ভয়ঙ্কর নির্যাতন চালিয়েছে, তাদেরকে ন্যায্য ও স্বচ্ছ বিচারের মাধ্যমে দায়ী করা উচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘হাসিনার সরকারের অধীনে গুরুতর মানবাধিকার লঙ্ঘনের শিকারদের জন্য স্বচ্ছ, স্বাধীন ও ন্যায্য বিচার ও ক্ষতিপূরণ অপরিহার্য। ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আসামিদের অধিকার রক্ষা করা উচিত। এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত মৃত্যুদণ্ডের বিধান বাতিল করা।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব কথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, জাতিসংঘের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্ট মাসের তিন সপ্তাহব্যাপী বিক্ষোভ ও দমন কর্মকাণ্ডে প্রায় ১৪০০ মানুষ নিহত হন। যারা নির্যাতনের জন্য দায়ী তাদের দায়ী করা উচিত। কিন্তু প্রসিকিউশন আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচারের মান পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে পুরোপুরি আসামিপক্ষের প্রতিনিধিত্ব উপস্থাপনের সুযোগ না দেয়া, সাক্ষীদের জিজ্ঞাসা করার অধিকার এবং নিজের নির্বাচিত আইনজীবী দ্বারা প্রতিনিধিত্বের অধিকার।
মৃত্যুদণ্ডের কারণে বিচার প্রক্রিয়ার ন্যায্যতার উদ্বেগ আরও বেড়ে গেছে। হিউম্যান রাইটস ওয়াচ জানিয়েছে, জোরপূর্বক নিখোঁজ, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ও নির্যাতনসহ হাসিনার সরকারের মানবাধিকার লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে ন্যায্যতা ও জবাবদিহি অপরিহার্য।







