সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) থেকে শুরু হতে যাওয়া অনশন কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে।  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবির বিষয়ে বৃহস্পতিবার  প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে বৈঠক শেষে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) আবু নূর মো. শামসুজ্জামান এবং সহকারী শিক্ষক সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল  এ কথা জানিয়েছেন।

এসময় বৈঠকে সহকারী শিক্ষকদের সংগঠনগুলোর নেতৃবৃন্দ এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সহকারী শিক্ষক সমাজের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল  বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমাদের সাথে অনুষ্ঠিত বৈঠকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শিক্ষক নেতৃবৃন্দের তিনটি মূল দাবি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ দ্রুত বাস্তবায়নের আশ্বাস দেন।’

আরও পড়ুন:  সোমবার থেকে সারাদেশে এমপিওভুক্ত শিক্ষকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের দাবি বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতা আমরা উপলব্ধি করেছি। সেজন্য আমরা  শুক্রবার থেকে শুরু হতে যাওয়া আমরণ কর্মসূচি স্থগিত করছি। আশা করছি সরকার দ্রুত এসব প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করবে।’

তবে প্রতিশ্রুতি পূরণ না হলে পুনরায় কর্মসূচি ঘোষণা করার কথা জানান নূরে আলম সিদ্দিকী রবিউল ।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক জানান, বৈঠকে মূলত তিনটি দাবি নিয়ে আলোচনা হয়- সহকারী শিক্ষকদের ১৩তম গ্রেড থেকে ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির সুযোগ সহজতর করা, প্রায় ৩২ হাজার ৫০০ সহকারী শিক্ষকের পদোন্নতি সম্পর্কিত মামলার দ্রুত নিষ্পত্তি।

মহাপরিচালক বলেন, ‘যেহেতু প্রধান শিক্ষকদের গ্রেড এখন ১০ম গ্রেডে উন্নীত হয়েছে, তাই সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেড প্রাপ্য। এই প্রস্তাব আমরা ইতিমধ্যে অর্থ মন্ত্রণালয় ও পে কমিশনের কাছে পাঠিয়েছি। পে কমিশনের চেয়ারম্যান, অর্থসচিব ও মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সঙ্গে তাদের বৈঠকের ব্যবস্থা করা হবে।’

আরও পড়ুন:  প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষা ২ ফেব্রুয়ারি

তিনি আরও জানান, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রদানের বিষয়ে অর্থ মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে এবং পে কমিশনের সুপারিশের ভিত্তিতে এটি বাস্তবায়নের সম্ভাবনা রয়েছে।

এছাড়াও পদোন্নতির ক্ষেত্রে প্রাথমিক শিক্ষকদের জন্য বিদ্যমান বিধিমালা আরও সহজতর করা হয়েছে বলেও জানান মহাপরিচালক।

৩২ হাজার ৫০০ শিক্ষকের পদোন্নতি সংক্রান্ত মামলার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আদালতে মামলাটির শুনানি হয়েছে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই রায় পাওয়া যাবে বলে আশা করছি। রায় পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পদোন্নতি কার্যক্রম দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *