মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নোবেল পাননি। শান্তিতে এই পুরস্কার পেয়েছেন ভেনেজুয়েলার একজন বিরোধী নেতা। আর এই ঘটনাকে ভালোভাবে নিতে পারছে না হোয়াইট হাউজ। নোবেল কমিটির সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের কার্যালয়। 

পুরস্কারের জন্য ট্রাম্প জোর চেষ্টা চালিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে তার ভূমিকার কথা প্রচারও করেছিলেন জোরেশোরে। তারপরও নোবেল কমিটির মন গলেনি। 

হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র স্টিভেন চুং ‘এক্স’ প্ল্যাটফর্মে এক পোস্টে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প শান্তি চুক্তি করে যাবেন, যুদ্ধ শেষ করবেন এবং জীবন বাঁচাবেন। তার আছে মানবতাবাদী হৃদয়। তার মতো আর কেউ আসবে না, যিনি তার ইচ্ছাশক্তির জোরে পর্বতকেও সরিয়ে দিতে পারেন।

তিনি আরও বলেন, নোবেল কমিটি প্রমাণ করেছে যে তারা শান্তির চেয়ে রাজনীতিকে প্রাধান্য দেয়।

আরও পড়ুন:  ফের ভারতীয় ও চীনা পণ্যে পাল্টা শুল্ক আরোপের হুমকি ট্রাম্পের

নরওয়েজিয়ান নোবেল কমিটি ভেনেজুয়েলার মারিয়া কোরিনা মাচাদোকে শান্তিতে নোবেল দিয়েছে। কমিটি তাকে স্বৈরাচারী নেতৃত্বের বিরুদ্ধে সাহসী শক্তি হিসেবে বিবেচনা করেছে।

ট্রাম্প এই পুরস্কারের জন্য প্রচার চালিয়েছেন। এই সপ্তাহেই গাজা যুদ্ধ শেষ করার জন্য একটি যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি চুক্তির ঘোষণা করেছেন।

নোবেলের এই সিদ্ধান্তের বিষয়ে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এখনও কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তিনি শুক্রবার সকালে তার ট্রুথ সোশ্যাল অ্যাকাউন্টে তার সমর্থকরা গাজা চুক্তি উদযাপন করছেন এমন তিনটি ভিডিও পোস্ট করেছেন।

ট্রাম্প দাবি করেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর থেকে আটটি যুদ্ধের অবসান ঘটিয়েছেন। নোবেল তারই প্রাপ্য। যদিও গত মাসে তিনি বলেছিলেন, তিনি পুরস্কার পাবেন না বলেই পুরোপুরি আশা করেন। গত মাসে শীর্ষ মার্কিন সামরিক নেতাদের ট্রাম্প বলেছিলেন, আপনি কি নোবেল পুরস্কার পাবেন? একেবারেই না। তারা এমন কাউকে দেবে যে কোনো কিছুই করেনি।

আরও পড়ুন:  সৌদি আরবে রুশ-মার্কিন শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক কাল

তিনি আরও বলেছিলেন যে যদি তিনি পুরস্কারটি না পান, তবে তা হবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি “একটি বড় অপমান”।

চলতি বছরের পুরস্কারের জন্য নোবেলের মনোনয়ন অবশ্যই ৩১ জানুয়ারির আগে জমা দিতে হতো। ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি তার দ্বিতীয় মেয়াদের জন্য হোয়াইট হাউসে ফিরে আসেন।

সূত্র: রয়টার্স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *