ভাষাসংগ্রামী, প্রাবন্ধিক ও রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য আহমদ রফিকের প্রতি শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন সর্বস্তরের মানুষ। শনিবার (অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে নেওয়া হলে সেখানে ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতিপ্রেমীরা সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে তাকে শেষ শ্রদ্ধা জানান।
ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহীদ মিনারে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে শোকযাত্রার মাধ্যমে মরদেহ নেওয়া হবে ইব্রাহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মেডিকেল শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ ও গবেষণার জন্য তিনি মরণোত্তর দেহ দান করে গেছেন।
গত বৃহস্পতিবার রাত ১০টা ১২ মিনিটে বারডেম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এই ভাষাসংগ্রামী শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৬ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, ক্রনিক কিডনি ফেইলিওর, আলঝেইমার্স, পারকিনসন্স, ইলেকট্রোলাইটস ইমব্যালেন্স, বেডশোর ও ফুসফুস সংক্রমণে ভুগছিলেন।
ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসবিদ, গবেষক ও লেখক হিসেবে আহমদ রফিক শতাধিক গ্রন্থ রচনা ও সম্পাদনা করেছেন। একুশে পদক, বাংলা একাডেমি পুরস্কারসহ বহু সম্মাননা পেয়েছেন তিনি। দুই বাংলার রবীন্দ্রচর্চায় অনন্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে কলকাতার টেগর রিসার্চ ইনস্টিটিউট তাকে ‘রবীন্দ্রতত্ত্বাচার্য’ উপাধিতে ভূষিত করে।
২০১৯ সাল থেকে তার দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হতে শুরু করে, পরবর্তী সময়ে প্রায় সম্পূর্ণ দৃষ্টিহীন হয়ে পড়েন। ২০২১ সালে পড়ে গিয়ে পা ভেঙে যাওয়ার পর থেকেই তার শারীরিক অবস্থা অবনতি হতে থাকে। সাহিত্য, সংস্কৃতি ও ভাষা আন্দোলনে তার অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ দেশের বুদ্ধিজীবী সমাজ আহমদ রফিকের চিকিৎসা ও রাষ্ট্রীয় সহায়তার দাবি জানিয়েছিলেন জীবদ্দশাতেই।






