লক্ষ্যটা খুব বড় ছিল না। তবে উইকেটের বিচারে একেবারে সহজও ছিল না। প্রয়োজন ছিল বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে ব্যাটিং করা। সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত নেওয়া। কিন্তু ব্যাটার সবাই চেষ্টা করলেন ছক্কা মেরে কাজটা শেষ করতে। তাতে যা হওয়ার তাই হলো। দলের কোনো ব্যাটারই দায়িত্ব নিতে না পারায় শেষ পর্যন্ত ১১ রানে হার মানতেই হলো বাংলাদেশকে।
অথচ বল হাতে কি দারুণ সূচনাই না করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সেই সূচনা আর থাকেনি বেশ কিছু ক্যাচ মিসে। শূন্য রানে জীবন পাওয়া মোহাম্মদ নাওয়াজ ও শাহিন শাহ আফ্রিদিরা খেলেন কার্যকরী ইনিংস। তাতে লড়াইয়ের পুঁজি পেয়ে যায় পাকিস্তান। আর সেই পুঁজি যথেষ্ট হয়ে টাইগারদের দায়িত্ব জ্ঞানহীন ব্যাটিংয়ে।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রানের ইনিংস খেলেন শামিম। তবে তিনিও চাহিদা মেটাতে পারেননি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ রান আসে সাইফের ব্যাট থেকে। পাকিস্তানের হয়ে দারুণ বোলিং করেন শাহিন আফ্রিদি। ১৭ রানের খরচায় নেন ৩টি উইকেট। ৩৩ রান দিয়ে ৩টি উইকেট নেন হারিস রউফ। ব্যাটিংয়ে না পারলেও ১৬ রানের বিনিময়ে ২টি উইকেট নেন সাইম আইয়ুব।
এই জয়ে ফাইনালের টিকিট পেল পাকিস্তান। তাতে এশিয়া কাপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো ফাইনালে খেলবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দুইদল। টানা দুই জয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল ভারত।







