যুক্তরাষ্ট্রে দক্ষ কর্মীদের এইচ-১বি ধরনের ভিসার জন্য এক লাখ ডলার ফি নির্ধারণ করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। যা গুনতে হবে শুধু নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে। আজ রোববার থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার কথা।
যুক্তরাষ্ট্রে এইচ-১বি ভিসা দক্ষ কর্মীদের কোন সংস্থার হয়ে কাজের জন্য দেওয়া হয়। এই ভিসাধারীরা দেশটিতে সাময়িকভাবে বসবাস ও কাজ করতে পারেন।
মূলত ভিসা ফি ১ লাখ ডলার করার খবর শুনে এসব কর্মীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়। পরে হোয়াইট হাউস স্পষ্ট করেছে, এই নিয়ম শুধু নতুন আবেদনকারীদের জন্য।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র ক্যারোলিন লেভিট গতকাল শনিবার এক্স-এ (আগের টুইটার) এক পোস্টে লিখেন, এখন যাদের এইচ-১বি ভিসা আছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে অবস্থান করছেন, তাদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের সময় ওই ১ লাখ ডলার ফি দিতে হবে না। এটা কেবল নতুন আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আর এটি কোনো বার্ষিক ফি নয়। এটি কেবল এককালীন ফি, যা শুধু প্রথম আবেদনের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।
শুক্রবার বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক বলেছিলেন, নতুন ১ লাখ ডলারের এইচ-১বি ভিসার ফি প্রতি বছর দিতে হবে। তবে তিনি উল্লেখ করেছিলেন, বিষয়টি বিবেচনাধীন। এরপরই এইচ-১বি ভিসাধারীদের মধ্যে উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে ছুটি কাটিয়ে ফিরতে না পারার শঙ্কায় মাঝপথেই যাত্রা বাতিল করেন। সানফ্রান্সিসকো বিমানবন্দরে কয়েকজন ভারতীয় যাত্রী বিমান থেকে নেমে যান, সে ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে।
চীনা সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও অনেকে আতঙ্ক ও বিভ্রান্তির অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন। কেউ বলেন, কোভিড-১৯ মহামারির সময় ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার আগে যেমন তাড়াহুড়ো করে ফিরতে হয়েছিল, এবারও সেই আতঙ্ক ফিরে এসেছে। এক নারী যাত্রী ফ্রান্সগামী ভ্রমণ ফ্লাইট ছেড়ে দেন, কারণ কোম্পানির আইনজীবীরা বিদেশে থাকা কর্মীদের দ্রুত যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে আসার নির্দেশ দিয়েছিলেন। মাইক্রোসফট, অ্যামাজন, গুগল, গোল্ডম্যান স্যাকসসহ বড় বড় প্রতিষ্ঠান কর্মীদের জন্য ভ্রমণ নির্দেশনা দেয়।
গত বছর ভারতীয়রা ৭১ শতাংশ এবং চীনারা ১২ শতাংশ এইচ-১বি ভিসা পেয়েছিলেন। ফলে এ সিদ্ধান্তে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়ছে এশিয়ার কর্মীদের ওপর। নর্থ ক্যারোলিনায় কর্মরত রোহন সিং বলেন, ‘আমরা জানি না সামনে কী অপেক্ষা করছে। তাই সবাই আতঙ্কে আছি।







