কাতারে এক হচ্ছেন আরব-মুসলিম নেতারা

দোহায় হামাস নেতাদের ওপর ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানাতে এবং উপসাগরীয় রাষ্ট্রটির প্রতি সংহতি প্রদর্শনের লক্ষ্যে আরব ও মুসলিম নেতাদের এক সম্মেলনের আয়োজন করবে কাতার। কাতার শনিবার এ তথ্য জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এদিন জানান, সোমবারের বৈঠকে ‘কাতার রাষ্ট্রে ইসরায়েলের হামলার ওপর একটি খসড়া প্রস্তাব’ বিবেচনা করা হবে, যা রবিবার এক মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে প্রস্তুত করা হবে।

তিনি সরকারি সংবাদ সংস্থা কিউএনএকে আরো বলেন, এ সম্মেলন ‘কাতার রাষ্ট্রের প্রতি ইসরায়েলের কাপুরুষোচিত আগ্রাসনের মুখে ব্যাপক আরব ও ইসলামী সংহতি এবং ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসবাদকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যানের প্রতিফলন।

উপস্থিত নেতাদের মধ্যে থাকবেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান ও ইরাকের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ শিয়া আল-সুদানি। তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়িপ এরদোয়ানও দোহায় থাকবেন, তবে তিনি বৈঠকে যোগ দেবেন কি না, তা এখনো নিশ্চিত নয়।

আরও পড়ুন:  চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্যের স্থাপনা বুর্জ আল আরব! কী আছে এই হোটেলে?

গত মঙ্গলবার দোহার ইসরায়েলের হামলায় হামাসের পাঁচ সদস্য ও এক কাতারি নিরাপত্তা কর্মকর্তা নিহত হন। এ হামলার নিন্দা জানিয়েছে আন্তর্জাতিক মহল, যার মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র উপসাগরীয় রাজতন্ত্রগুলোও রয়েছে, যারা ইসরায়েলের প্রধান সমর্থক।

অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরের পাশাপাশি গাজা যুদ্ধের মধ্যস্থতাকারীর ভূমিকা পালন করছে কাতার। ওই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় ঘাঁটিটিও সে দেশে অবস্থিত।বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলনের লক্ষ্য ইসরায়েলকে একটি স্পষ্ট বার্তা দেওয়া। লন্ডনের কিংস কলেজের আন্দ্রিয়াস ক্রিগ বলেন, ইসরায়েলের এই হামলাকে ‘পুরো উপসাগরজুড়ে অভূতপূর্বভাবে সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন ও কূটনীতির ওপর হামলা হিসেবে দেখা হয়েছে’।

তিনি আরো বলেন, এ সম্মেলন সংকেত দিচ্ছে, ‘এ ধরনের আগ্রাসনকে স্বাভাবিক বলে মেনে নেওয়া যাবে না’।

ক্রিগ বলেন, ‘লক্ষ্য হলো স্পষ্ট সীমানা টানা এবং ইসরায়েল যেন অবাধে কাজ করতে পারে—এই ধারণার অবসান ঘটানো। ফিলিস্তিন ইস্যুতে আরো কঠোর অবস্থান এবং ইসরায়েলি পদক্ষেপের প্রতি আরো কড়া সুর প্রত্যাশা করুন।’

আরও পড়ুন:  রাখাইনের জন্য করিডোর দিতে সম্মত বাংলাদেশ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *