ডায়াবেটিস: ঝুঁকি ও প্রতিরোধ

ডায়াবেটিস হলো একটি বিপাকজনিত রোগ, যেখানে রক্তের শর্করার পরিমাণ স্বাভাবিকের চেয়ে বেড়ে যায়। অগ্ন্যাশয় থেকে নিঃসৃত ইনসুলিন হরমোন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। ইনসুলিনের অভাব বা কার্যকারিতা কমে গেলে এ সমস্যা দেখা দেয়। অনেক সময় কোনো স্পষ্ট লক্ষণ ছাড়াই মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হতে পারে।

ডায়াবেটিসের সাধারণ লক্ষণ
ঘন ঘন প্রস্রাব ও তেষ্টা পাওয়া;
নিয়মিত খাওয়ার পরও ঘন ঘন খিদে লাগা;
অতিরিক্ত ক্লান্তি অনুভব করা;
চোখে ঝাপসা দেখা;
আঘাত বা কাটাছেঁড়া সহজে না সারতে পারা;
কোনো কারণ ছাড়াই ওজন কমে যাওয়া;
হাতে-পায়ে ব্যথা বা অবশ ভাব।

কাদের ডায়াবেটিস পরীক্ষা করা উচিত
উপরোল্লিখিত লক্ষণ সব সময় নাও থাকতে পারে। তাই কিছু নির্দিষ্ট ঝুঁকি আছে এমন ব্যক্তিদের নিয়মিত ডায়াবেটিস পরীক্ষা করানো উচিত।
৪৫ বছর বা তার বেশি বয়স্ক ব্যক্তি;
স্থূলকায় ব্যক্তি;
যাদের নিকটাত্মীয়ের ডায়াবেটিস আছে;
যাদের শারীরিক পরিশ্রমের ঘাটতি আছে;
যাদের প্রি-ডায়াবেটিস আছে;
গর্ভকালীন ডায়াবেটিসের ইতিহাস আছে এমন নারী।
উচ্চ রক্তচাপ, স্ট্রোক বা পলিসিস্টিক ওভারি সিনড্রোমে আক্রান্ত ব্যক্তি।
রক্তে ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেশি এবং এইচডিএল বা ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা কম থাকলে।
অন্তঃসত্ত্বা নারীদের ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থার ২৪-২৮ সপ্তাহের মধ্যে ডায়াবেটিস শনাক্তকরণ পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি। সময়মতো পরীক্ষা না করালে মা ও শিশু উভয়ের জন্যই বিভিন্ন জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।

আরও পড়ুন:  মানসিক চাপ বাড়লে ব্যাহত হয় ঘুমের ছন্দ, সতর্কতা জরুরি

লেখক : কনসালট্যান্ট, ডায়াবেটিস ও এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগ, ইমপালস হাসপাতাল, তেজগাঁও, ঢাকা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *