দাবি না মানলে সর্বাত্মক আন্দোলনের হুঁশিয়ারি প্রাথমিক শিক্ষকদের

সহকারী শিক্ষকদের ১১তম গ্রেডে বেতনসহ তিন দফা দাবিতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মহাসমাবেশ করেছে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ। দাবি না মানলে সর্বাত্মক আন্দোলন করা হবে সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) সমাবেশ থেকে প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ এ হুঁশিয়ারি দেন।

এর আগে, সকাল থেকে দেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে সহকারী শিক্ষকরা সমাবেশস্থলে উপস্থিত হন।

তিনি বলেন, মহাসমাবেশে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, নাগরিক ঐক্য, গণসংহতি আন্দোলন এবং এনসিপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা উপস্থিত থাকবেন। যদি এই মহাসমাবেশ থেকে আমাদের দাবি পূরণ না হয়, তবে কঠোর আন্দোলন কর্মসূচির ঘোষণা দেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, সকাল ৯টা থেকে মহাসমাবেশ চলছে। মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দেওয়ার পর বিকাল ৩টায় মহাসমাবেশ শেষ হবে।

আরও পড়ুন:  বিসিবির সভাপতি হচ্ছেন বুলবুল
সমাবেশ শেষে নতুন করে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।আন্দোলনরত শিক্ষকরা জানান, দীর্ঘদিন থেকে ১১তম গ্রেডের জন্য আন্দোলন করছেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা। সরকার থেকে বারবার আশ্বাস দিলেও দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়ন করছে অথচ সহকারী শিক্ষকদের নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

জোটের নেতারা জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কনসালটেশন কমিটির রিপোর্ট সংশোধন করে সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদে বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম ধাপে নির্ধারণ করতে হবে। একই পদে সন্তোষজনক চাকরির শর্ত পূরণ করা শিক্ষকদের ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতির দিতে হবে। তিন দফা দাবিতে আদায়ে মহাসমাবেশ চলছে।

আরও পড়ুন:  কী ছিল সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীতে

তিন দফা দাবি হলো– সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদে ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, প্রধান শিক্ষকের শূন্য পদে শতভাগ পদোন্নতির মাধ্যমে পূরণ এবং ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রদানে উন্নীত স্কেলকে উচ্চতর গ্রেড হিসেবে গণ্য না করা।

প্রসঙ্গত, শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন।

গত বছরের ৫ আগস্ট বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠন করা কনসালটেশন কমিটি ১২তম গ্রেড বেতন নির্ধারণের সুপারিশ করে। এই বিষয়টি নিয়ে নতুন করে আন্দোলন শুরু করে সরকার। পাশাপাশি দেশের সব প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবয়নের উদ্যোগ নেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা (বর্তমান পদ শিক্ষক) ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। সরকার নতুন বেতন স্কেলের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার কথা জানালেও প্রাথমিক শিক্ষকরা দ্রুত দাবি বাস্তবায়নে মহাসমাবেশের ডাক দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *