পেঁয়াজের রসের যত গুণ

প্রায় সব রান্নাতেই পেঁয়াজের প্রয়োজন পড়ে। এটি রান্নায় যোগ করলে খাবারের স্বাদ বাড়ে। সেই সঙ্গে এটি শক্তিশালী ওষুধ হিসেবেও কাজ করে। অনেক গবেষণায় পেঁয়াজের রসকে স্বাস্থ্যের অনেক সমস্যা সমাধানে সহায়ক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

পুষ্টিগুণের পাশাপাশি পেঁয়াজে আছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ও অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য। এটি এক ধরনের প্রাকৃতিক ওষুধও। এ ছাড়া পেঁয়াজে ভিটামিন সি, ভিটামিন বি৬, ফোলেট, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও সালফার যৌগ যেমন কুইয়ারসেটিন ও অ্যালিল প্রোপাইল ডিসালফাইড প্রচুর পরিমাণে থাকে।

জার্নাল অব নিউট্রিশন-এ প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, পেঁয়াজে থাকা অ্যান্টি-অক্সিডেন্টগুলো শরীরে ফ্রি-র‍্যাডিকেল ধ্বংস করে।

এর ফলে হৃদরোগ, ক্যান্সার ও ডায়াবেটিসের মতো রোগের ঝুঁকি কমে।পুষ্টিবিদদের মতে, পেঁয়াজের রস প্রাকৃতিক ডিটক্স হিসেবে কাজ করে। এটি যেমন পরিপাকতন্ত্রকে শক্তিশালী করে, তেমনি শর্করা ও কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে। তবে এটি সঠিক পরিমাণে গ্রহণ করা জরুরি।

আরও পড়ুন:  জুলাই গণহত্যায় শেখ হাসিনার বিচার সম্প্রচারের সিদ্ধান্ত
পেঁয়াজের রস রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। গবেষণা অনুসারে, পেঁয়াজের রস ডায়াবেটিক রোগীদের হাইপারগ্লাইসেমিয়া নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এতে থাকা অ্যালিল প্রপাইল ডিসালফাইড ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়ায় এবং গ্লুকোজের মাত্রা স্থিতিশীল রাখে। পেঁয়াজে থাকা কুইয়ারসেটিন এবং অন্যান্য অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হৃদরোগের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

ব্রিটিশ জার্নাল অব নিউট্রিশন-এর একটি গবেষণায় দেখা গেছে, নিয়মিত পেঁয়াজের রস খেলে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা এবং সিস্টোলিক রক্তচাপ কমে।

এর ফলে হৃদরোগের ঝুঁকিও কমে। পেঁয়াজে থাকা প্রো-বায়োটিক ফাইবার অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়া বাড়ায়।জার্নাল অব ফুড অ্যান্ড ফাংশন অনুসারে, এই ফাইবার হজমক্ষমতাকে উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য, ফোলাভাব ও পেটসংক্রান্ত অন্যান্য সমস্যা কমায়। পেঁয়াজে ভিটামিন সি, জিঙ্ক ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে শক্তিশালী করে। পেঁয়াজের রস ঋতু পরিবর্তনের সময় হওয়া সংক্রমণ এবং সর্দি-কাশির মতো সমস্যা থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন:  রোজা শুরুর আগেই হঠাৎ দ্বিগুণ তিন পণ্যের দাম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *