যুদ্ধবিরতির পরও ভারতের কাশ্মিরে বিকট বিস্ফোরণ

ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে যুদ্ধবিরতি হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মিরের শ্রীনগরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। অঞ্চলটির মুখ্যমন্ত্রী ওমর আব্দুল্লাহ মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে শনিবার (১০ মে) লিখেছেন, “যুদ্ধবিরতির কী হলো? শ্রীনগরজুড়ে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে।”

শ্রীনগরের কয়েকজন বাসিন্দা কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছেন, তারা একাধিক বিকট বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পেয়েছেন। ওই সময় শহরটির একটি অংশে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে ব্ল্যাকআউট করা হয়।

শ্রীনগরভিত্তিক সাংবাদিক ওমর মেহরাজও আলজাজিরার কাছে নিশ্চিত করেছেন তারা বিস্ফোরণের শব্দ শুনছেন। তিনি বলেছেন, “আমরা শ্রীনগরে বিকট বিস্ফোরণ শুনতে পাচ্ছি। শনিবার সকালে এবং বিকেলে একই শব্দ শোনা গিয়েছিল। আমি আকাশে কোনো বস্তু উড়তে দেখেছি। তবে এগুলো মিসাইল নাকি আকাশ প্রতিরক্ষার কিছু তা একদমই স্পষ্ট নয়। একই ধরনের বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছে বারামুল্লাহ এবং জম্মুতে।” তিনি আরও বলেন, “বিস্ফোরণের পর এখানকার মানুষের মধ্যে বেশ আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। সবাই নিরাপদ আশ্রয়ে দৌড়ে গেছেন। তবে নতুন বিস্ফোরণে কোনো হতাহত হয়েছে কি না সেটি নিশ্চিত নই।”

আরও পড়ুন:  বিশ্ববাজারে প্রথমবার সোনার দাম ২২৫০ ডলার ছাড়াল

জম্মু-কাশ্মিরের মুখ্যমন্ত্রী এক্সে আরেকটি পোস্ট দিয়েছেন। সেখানে একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন তিনি। এতে স্পষ্ট বিস্ফোরণের শব্দ শোনা যাচ্ছিল। তিনি পোস্টে লিখেছেন, “শ্রীনগরে কোনো যুদ্ধবিরতি নেই। শ্রীনগরের মধ্যাঞ্চলে আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় করা হয়েছে।”

লুধিয়ানার ডিসি অবশ্য বলেছেন এ মুহূর্তে আতঙ্কগ্রস্ত হওয়ার কিছু নেই। তবে প্রয়োজন হলে ব্ল্যাকআউট করা হবে বলে জানান তিনি। সরকারি এ কর্মকর্তা বলেন, সশস্ত্র বাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন।

পাতিয়ালার বিভাগীয় কমিশনার (ডিসি) জানিয়েছেন, যদি কোনো হামলার সংকেত তারা পান তাহলে এ ব্যাপার জনসাধারণকে অবহিত করা হবে। এ মুহূর্তে আতঙ্কিত না হওয়ার অনুরোধ জানিয়েছেন তিনি।

অপরদিকে পাঞ্জাবের অমৃতসরের ডিসি দাবি করেছেন, সেখানে যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটেছে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে অমৃতসরে ব্ল্যাকআউট কার্যকর করা হবে।

আরও পড়ুন:  জেলেনস্কির যুদ্ধবিরতির আহ্বান সমর্থন করলেন এরদোয়ান

সূত্র: আলজাজিরা, এনডিটিভি

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *