বাংলাদেশে ভারতীয়দের অনুপ্রবেশ, যা বললেন নিরাপত্তা উপদেষ্টা

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান বলেছেন, বাংলাদেশি নাগরিক উল্লেখ করে সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে মানুষ প্রবেশ (পুশইন) করানোর বিষয়টি ‘গ্রহণযোগ্য’ নয়। বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা বলেন, ভারত থেকে জোর করে মানুষ প্রবেশ করানোর খবর আমরা পাচ্ছি। দেশের নাগরিক হলে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় তা জানাতে হবে। এ ধরনের ঘটনা গ্রহণযোগ্য নয়। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে জোরপূর্বক প্রবেশের বিষয়ে দিল্লিকে জানানো হয়েছে। কোনো বাংলাদেশি নাগরিক হলে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় তাদের পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে।

বিষয়টি নিয়ে দিল্লির সঙ্গে কথা চলছে জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে জোরপূর্বক প্রবেশের বিষয়ে দিল্লিকে জানানো হয়েছে। কোনো বাংলাদেশি নাগরিক হলে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় তাদের পাঠানোর কথাও বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:  সন্দ্বীপ ছাত্র ফোরাম ঢাকার ইফতার মাহফিল ও নবীন বরণ

বুধবার ভোর সাড়ে ৪টা থেকে মাটিরাঙা তাইন্দং সীমান্ত দিয়ে ১৫ জন, গোমতি ইউনিয়নের শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে ২৭ জন ও পানছড়ির লোগাং ইউনিয়নের রুপসেনপাড়া সীমান্ত দিয়ে ২৪ জনসহ মোট ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিককে অনুপ্রবেশের অভিযোগে আটক করে বিজিবি। আটক ব্যক্তিরা নিজেদের গুজরাটের বাসিন্দা দাবি করেন। আটকরা বাংলা ভাষাভাষী।

তাদের গুজরাট থেকে বিমানে করে সীমান্তে নিয়ে এসে বিএসএফ সদস্যরা শান্তিপুর সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ করায় বলে জানা যায়।

খাগড়াছড়ির ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসন নাজমুন আরা সুলতানা জানান, সর্বশেষ খবর পর্যন্ত ৬৬ জন ভারতীয় নাগরিক অনুপ্রবেশ করানো হয়েছে। বিজিবি বিষয়টি দেখভাল করছে। তাদের আওতায় রয়েছে অনুপ্রবেশকারীরা। বিজিবির সঙ্গে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। আমরা তাদের দ্রুত পুশব্যাক করানোর চেষ্টা করছি।

আরও পড়ুন:  ‘ভিসা জটিলতা আমাদের সৃষ্ট নয়, ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে’

সম্প্রতি মেহেরপুরের মুজিবনগর দিয়ে ১০ জনকে বাংলাদেশে জোর করে পাঠিয়ে দেয় বিএসএফ। আটকরা বিজিবিকে জানান, বিএসএফ সদস্যরা কাঁটাতারের বেড়া খুলে বাংলাদেশের মধ্যে তাদের ঠেলে দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *