ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে যুক্তরাষ্ট্র: ট্যামি ব্রুস

জম্মু-কাশ্মীরের পেহেলগাঁওকাণ্ডের জেরে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।

বৃহস্পতিবার মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুস এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।

ব্রিফিংয়ে মুখপাত্র ট্যামি ব্রুসের সংক্ষিপ্ত বক্তৃতার পর এক সাংবাদিক ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা নিরসনে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে কোনও কূটনৈতিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা, সে বিষয়ে জানতে চান। ওই সাংবাদিক বলেন, হামলার পর থেকে ভারত পাকিস্তানকে দোষারোপ করছে। অর্থাৎ, হামলাকারীদের সঙ্গে পাকিস্তানের কোনও না কোনও সংযোগ ছিল বলে দাবি করছে দিল্লি। আমি জানতে চাচ্ছি, এই বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও অতিরিক্ত প্রতিক্রিয়া আছে কি না? আপনারা কি মনে করছেন এই ঘটনার পেছনে পাকিস্তানের ভূমিকা আছে? এছাড়া দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও কূটনৈতিক প্রচেষ্টা আছে কি না?

আরও পড়ুন:  আকাশে বিরল গ্রহ-চাঁদের মিলন: দেখা যাবে ‘স্মাইলি ফেস’

জবাবে যুক্তরাষ্ট্র ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনার বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছে বলে জানিয়েছেন ট্যামি। তিনি বলেন, আমি এই বিষয়টি শুরুতেই তুলেছিলাম, কারণ ঘটনাটি সত্যিই ভয়াবহ। তবে আপাতত এটুকুই আমাদের মন্তব্যের সীমা হবে। আমি শুধু এটুকু বলতে পারি যে, যেমনটা আপনারা অনুমান করতে পারেন, এটি একটি দ্রুত পরিবর্তনশীল পরিস্থিতি এবং আমরা তা খুব ঘনিষ্ঠভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। আমরা এই মুহূর্তে জম্মু ও কাশ্মীরে স্থিতিশীলতা নিয়ে কোনও অবস্থান জানাচ্ছি না। তাই আজকের জন্য আমার মন্তব্য এ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে।

স্টেট ডিপার্টমেন্টের ব্রিফিং শুরুর আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে ট্যামি ব্রুস কাশ্মিরে হামলার ইস্যুর ওপর বেশ জোর দেন। তিনি বলেন, এবার পেহেলগাঁওয়ে সন্ত্রাসী হামলার বিষয়ে আসি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করে বলেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের পাশে রয়েছে এবং সন্ত্রাসবাদের সকল কর্মকাণ্ডের তীব্র নিন্দা জানায়। আমরা নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করছি এবং আহতদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি। একইসঙ্গে এই নৃশংস হামলার সঙ্গে জড়িতদের বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানাচ্ছি।

আরও পড়ুন:  ভারত-পাকিস্তান থেকে এলো ৩৭ হাজার টন চাল

ব্রিফিংয়ে ভারত-পাকিস্তানের উত্তেজনা ইস্যুতে পাকিস্তানি এক সাংবাদিকও প্রশ্ন করেন। তবে এর সরাসরি কোনও জবাব দেননি স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র। কার্যত তিনি ওই প্রশ্নটি এড়িয়ে গেছেন। ওই সাংবাদিক জানতে চেয়েছিলেন, নিজের প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারত-অধিকৃত কাশ্মীর ইস্যুতে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে মধ্যস্থতা করার প্রস্তাব দিয়েছিলেন। আমি জানি, আপনি কিছুক্ষণ আগে বললেন যে, এই প্রশাসনের কাশ্মীর নিয়ে কোনও নির্দিষ্ট অবস্থান নেই-তা আমি বুঝতে পেরেছি। তবে সীমান্তে যে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে, সেটাতো অস্বীকার করা যায় না।

তবে ওই সাংবাদিকের করা প্রশ্নের সরাসরি কোনও উত্তর দেননি ব্রুস। তিনি বলেন, আমি এ বিষয়ে সরাসরি কোনও মন্তব্য করব না। এ বিষয়ে আমি আগেই বলেছি। আপনার প্রশ্নের জন্য ধন্যবাদ। তবে হয়তো আমরা অন্য কোনও বিষয়ে আবার আপনার কাছে ফিরে আসব। সেখানে (কাশ্মীর) চলমান পরিস্থিতি নিয়ে আমি কিছুই বলতে চাই না। কেননা প্রেসিডেন্ট, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে কথা বলেছেন। তারা তাদের অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। আমি তা নিয়ে আলোচনা করব না।

আরও পড়ুন:  পাকিস্তানে হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে ভারত : নিউইয়র্ক টাইমস

সূত্র: ইউএস স্টেট ডিপার্টমেন্ট

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *