প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের চলমান সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতি তার দৃঢ় সমর্থন প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস। সংস্কার প্রচেষ্টার প্রতি সমর্থন জানিয়ে ড. ইউনূসকে চিঠি দিয়েছেন জাতিসংঘের মহাসচিব।

আজ বুধবার প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে জাতিসংঘের মহাসচিবের চিঠি শেয়ার করা হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে ২৫ ফেব্রুয়ারি পাঠানো ওই চিঠিতে গুতেরেস জানান, রোহিঙ্গা সংকটের কারণে বাংলাদেশ ও এ অঞ্চলের ওপর পড়া প্রভাব এবং রাখাইনে ক্রমবর্ধমান মানবিক সংকট নিয়ে তিনি বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টার উদ্বেগের সঙ্গে একমত।

চিঠিতে তিনি বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছামূলক প্রত্যাবর্তনের জন্যে উপযোগী পরিবেশ তৈরি করাসহ মিয়ানমারের সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধানের উদ্দেশ্যে আঞ্চলিক অংশীদার, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জোট (আসিয়ান) ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সঙ্গে আমি আমার বিশেষ দূতের মাধ্যমে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ চালিয়ে যাব।’

জাতিসংঘ মহাসচিব আরো বলেন, তিনি জাতিসংঘের বাংলাদেশ ও মিয়ানমারভিত্তিক কর্মী দলকে নির্দেশনা দেওয়ার জন্য তার সিনিয়র কর্মকর্তাদের আহ্বান জানিয়েছেন, যেন তারা রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য মানবিক ও জীবিকার সহায়তা আরো বাড়াতে পারে।

আরও পড়ুন:  বিদেশে বাংলাদেশকে তুলে ধরতে বেপজাকে নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

তিনি আশ্বস্ত করেন যে জাতিসংঘ এই ইস্যুতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে কাজ করবে, যার মধ্যে জরুরি ত্রাণ সমন্বয়কারী ও মিয়ানমারের আবাসিক ও মানবিক সমন্বয়কারীর মাধ্যমে রাখাইনসহ সারা মিয়ানমারে নিরাপদ, দ্রুত, টেকসই ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা পৌঁছানোর ব্যবস্থা নিশ্চিত করাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

গুতেরেস আশা প্রকাশ করেন যে ‘রোহিঙ্গা মুসলিম ও মিয়ানমারের অন্যান্য সংখ্যালঘুদের পরিস্থিতি নিয়ে উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলন বিশ্বব্যাপী নতুন করে মনোযোগ আকর্ষণ এবং রোহিঙ্গা ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের জন্য আরো বিস্তৃত সমাধান বের করতে সাহায্য করবে।

তিনি আরো বলেন, জাতিসংঘের ব্যবস্থা কীভাবে প্রক্রিয়াটিকে সর্বোত্তম সমর্থন করতে পারে তা বোঝার জন্য সদস্য রাষ্ট্রের পরামর্শ অনুসরণ করে আমরা সম্মেলনের সম্মত ফলাফল এবং পরিকল্পনার জন্য অপেক্ষা করছি।’

আরও পড়ুন:  বিজয় দিবসে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির সংবর্ধনা

জাতিসংঘ মহাসচিব পুনরায় নিশ্চিত করেন যে জাতিসংঘ বাংলাদেশকে দৃঢ় সংহতি জানাচ্ছে এবং অধ্যাপক ইউনূসের নেতৃত্বে চলমান পরিবর্তন প্রক্রিয়াকে সমর্থন দিচ্ছে।

তিনি ৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ তারিখে অধ্যাপক ইউনূসের পাঠানো চিঠির জন্য ধন্যবাদ জানান, যা ৭ ফেব্রুয়ারি জাতিসংঘ মহাসচিবের সঙ্গে বৈঠকের সময় প্রধান উপদেষ্টার রোহিঙ্গা সংকট ও অগ্রাধিকার বিষয়ক উচ্চ প্রতিনিধি খলিলুর রহমান তাকে পৌঁছে দেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *