বহিরাগতদের ভাড়া করে ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলছে রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) কিছু শিক্ষার্থী। আঞ্চলিকভাবে একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট শুরু হলে রাবিপ্রবির কিছু শিক্ষার্থী সেখানে অংশগ্রহণ করে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে মাঠের সমস্যা থাকার কারণে শারীরিক শিক্ষা বিভাগ খেলোয়াড়দের গুণগত মান যাচাইয়ের উদ্দেশ্যে তাদের সমর্থনে সব ধরনের সহযোগিতা প্রদান করে। কিন্তু সহযোগিতার পর দেখা গেছে উল্টো চিত্র। কোনো ঘোষণা ছাড়াই নিজেদের মনমতো খেলোয়াড় নির্ধারণ, নিজস্ব আত্মীয়স্বজনকে দলে জায়গা দেওয়া, এমনকি বহিরাগত খেলোয়াড় সংযুক্ত করে চলছে এই টুর্নামেন্ট।
রাবিপ্রবি শারীরিক শিক্ষা বিভাগের আহবায়ক জনাব খোকনেশ্বর ত্রিপুরা বলেন” টিম নির্ধারণে আমাদের কোন হস্তক্ষেপ ছিলো না। টিম নির্ধারণ শিক্ষার্থীরাই করেছে। তবে যেহেতু প্রশ্ন উঠেছে সেহেতু আমরা এই বিষয়টা নিয়ে তাদের সাথে বসবো”।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সহকারী ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর মো. কামাল হোসেন বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠের সমস্যার কারণে আমাদের কিছু শিক্ষার্থী আঞ্চলিকভাবে একটি টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণ করে। আমরা তাদের সমর্থন দিয়েছি যেন ভবিষ্যতে কোনো আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয় টুর্নামেন্টে সহজেই খেলোয়াড় নির্ধারণ করতে পারি। তবে দল গোছানো এবং দলে অংশগ্রহণকারী খেলোয়াড়ের বিষয়ে কিছুই জানি না। এটা তারাই নির্ধারণ করেছে।”
এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম ব্যবহার করে জার্সি ও নানা সুযোগ-সুবিধা নিয়ে বহিরাগতদের সুযোগ দেওয়ার বিষয়টিকে অনেক শিক্ষার্থী রাবিপ্রবিয়ানদের সঙ্গে প্রতারণা বলেও আখ্যা দিয়েছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন শিক্ষার্থী বলেন, “জুনিয়র হওয়ার কারণে কিছুই বলতে পারি না। সিনিয়ররা তাদের মনমতো দল গুছিয়েছে।”
রাবিপ্রবিতে বিগত বছরগুলোতে খেলাধুলার কোনো আয়োজন ছিল না বললেই চলে। তবে বর্তমানে শারীরিক শিক্ষা বিভাগের সুযোগের ফলে বিভিন্ন খেলাধুলার আয়োজন শুরু হয়েছে। কিন্তু সর্বোচ্চ সহযোগিতার পরেও এমন অনিয়মকে রাবিপ্রবিয়ানরা কীভাবে দেখবেন, সেটাই দেখার বিষয়।