১১ কোটি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রি ২০ কোটি টাকায়

নির্বাচন কমিশনের ডাটা সেন্টারে সংরক্ষিত ১১ কোটির বেশি বাংলাদেশি নাগরিকের ব্যক্তিগত তথ্য বিক্রির অভিযোগ অত্যন্ত গুরুতর। এই তথ্য ২০ হাজার কোটি টাকায় বিক্রির সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে ডেটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এছাড়া, এই ঘটনায় আরও ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, যার মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে ও আইসিটি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এবং সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এই অভিযোগ দেশের সাইবার নিরাপত্তা এবং তথ্য সুরক্ষার ক্ষেত্রে বড় ধরনের উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা এবং তথ্যের অবৈধ ব্যবহার রোধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া অত্যন্ত জরুরি।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন—ডেটা সেন্টারের সাবেক পরিচালক তারেক এম বরকতুল্লাহ, ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেসের পরিচালক ওয়াহিদুর রহমান শরীফ, আইসিটি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের সাবেক নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মাহবুবুর রহমান, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের সাবেক পরিচালক (অপারেশন্স) আবদুল বাতেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক জ্যেষ্ঠ রক্ষণাবেক্ষণ প্রকৌশলী আশরাফ হোসেন, জাতীয় টেলিকমিউনিকেশন মনিটরিং সেন্টারের (এনটিএমসি) লেফট্যানেন্ট কর্নেল (অব.) রাকিবুল হাসান, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সাবেক উপসচিব মো. রেজাউল ইসলাম।

আরও পড়ুন:  শেখ হাসিনাকে ফেরত আনার উদ্যোগ নেবে সরকার, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা

উপকমিশনার তালেবুর রহমান বলেন, বিক্রি হওয়া তথ্যগুলোর মধ্যে নাগরিকদের ৪৬ ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়। এই তথ্যগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে বাণিজ্যিকভাবে ক্রয়-বিক্রয়ের মাধ্যমে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন তথ্য প্রাথমিকভাবে পাওয়া গেছে। এতে অনেকগুলো সংস্থা জড়িত আছে। বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের যারা জড়িত ছিল তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেডকে যে তথ্যগুলো কম্পিউটার কাউন্সিল বিক্রি বা হস্তান্তর করেছে সেটা কোন আইনে, কীসের মাধ্যমে, কী স্বার্থে করেছে সেটা উদঘাটন করা হবে।

তালেবুর রহমান বলেন, ২০২২ সালের ৪ অক্টোবর এনআইডি যাচাই সভা গ্রহণ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন ও আইসিটি মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয়। ওই চুক্তির দুই অনুচ্ছেদ অনুসারে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল নির্বাচন কমিশনের তথ্য-উপাত্ত কোনো অবস্থাতেই কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে বিনিময় বা বিক্রি করতে পারবে না। সেটি লঙ্ঘন করে কম্পিউটার কাউন্সিল ডিজিকনের সহায়তায় বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে দেশি-বিদেশি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করেছে। কারা কীভাবে লাভবান হয়েছে সেটি খতিয়ে দেখছি।

আরও পড়ুন:  ২ বিলিয়ন ডলার বেড়ে রিজার্ভ ২১.৪৪ বিলিয়নের ঘরে

…….ডিডিজে নিউজ/এমএফ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *