নজরদারিতে আসছে দেশের সব ফিলিং স্টেশন। এখন থেকে ফিলিং স্টেশনগুলোকে জিপিএস ম্যাপিং সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) মন্ত্রণালয়ে এ সংক্রান্ত একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বৈঠকে জানানো হয়, জিপিএস ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে মুহূর্তেই যেকোনও ফিলিং স্টেশনের অবস্থান, লেনদেন, মজুত এবং সেবার মানসহ সবকিছু অনলাইনে রিয়েল টাইম মনিটর করা সম্ভব হবে।
বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ সচিবালয়ে জিপিএস লোকেশনভিত্তিক ফিলিং স্টেশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম এবং বিদ্যমান নীতিমালার আলোকে নতুন ফিলিং স্টেশনের জন্য প্রস্তুতকৃত লে-আউট, নকশা ও মডেল সংক্রান্ত পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘জ্বালানি তেলের ভেজাল রোধকল্পে ফিলিং স্টেশনের কার্যক্রম তদারকি বাড়াতে হবে। জিপিএস লোকেশনসহ ফিলিং স্টেশনগুলোর সার্বিক অবস্থা হালনাগাদ করার উদ্যোগ ভালো। বিপিসির ইআরপি’র ম্যাপে এটাকে সংযুক্ত করার ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।’
সরকারের তরফ থেকে জ্বালানি তেলের মনিটরিং করার বিষয়টি অনেক দিন ধরে আলোচনায় ছিল। এজন্য বিপিসিকে পেট্রোল পাম্পের একটি তালিকা ও জিপিএস লোকেশন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। সম্প্রতি বিপিসি এই তালিকা তৈরি করে জ্বালানি বিভাগে জমা দেয়।
প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘জ্বালানি খাতকে আধুনিকায়নের লক্ষ্যে আমরা দেশের সব ফিলিং স্টেশনকে জিপিএস ম্যাপিং সিস্টেমের আওতায় নিয়ে আসছি। একই সঙ্গে জ্বালানি বিভাগের বৈঠকে মডেল ফিলিং স্টেশনের নকশা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়।’
এর আগে সোমবার রাতে জ্বালানি তেলের দাম কমানোর সিদ্ধান্তের পরপরই প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ তার ফেসবুক পোস্টে বলেন, ‘দেশের বাজারে সব ধরনের জ্বালানি তেলের দাম কমলো। আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশেও আমরা নিয়মিত মূল্য সমন্বয় করব।
‘‘আমরা এখনো মনে করি, সাধারণ মানুষের জন্য বর্তমান দামটাও একটু বেশি হয়ে যায়। সবার প্রতি অনুরোধ, একটু ধৈর্য ধরুন। আশা করি, এ কঠিন সময় খুব বেশিদিন থাকবে না। জনবান্ধব আওয়ামী লীগ সরকার কোনো অবস্থায়ই জনগণের কষ্ট হয় এমন কোনো কাজ করতে চায় না। বৈশ্বিক পরিস্থিতির কারণে আমাদের নিরুপায় হয়েই জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয়ের পথ বেছে নিতে হয়েছে।’’
উল্লেখ্য, ২৮ আগস্ট ডিজেলে আমদানি শুল্ক ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়।