আর্জেন্টিনার ইতিহাস গড়া জয়, কোপার শিরোপা মেসিদের

কোপা আমেরিকার এবারের আসরে ফাইনালে কলম্বিয়াকে ১-০ গোলে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে আর্জেন্টিনা। প্রথম ও দ্বিতীয়ার্ধে গোল শূন্য থাকায় অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ালে ১১২ মিনিটের গোলের মুখ দেখে আর্জেন্টিনা। এই জয়ে ১৬ বার কোপার শিরোপা ঘরে তুললো লা আলবিসেলেস্তেরা। এর আগে আর্জেন্টিনার সমান ১৫টি শিরোপা জিতেছিল উরুগুয়ে।

ফাইনালে নির্ধারতি সময় অনেক কাঠখর পোড়ালেও গোলের দেখা পাচ্ছিলোনা কোনো দলই। পরে খেলা গড়ায় অতিরিক্ত মিনিটে। কিন্তু সেই সময়ও গড়িয়ে যায় অনেকট। স্টেডিয়াম ও টেলিভিশনের সামনে বসে থাকা দর্শক তখন টাইব্রেকারের প্রহর গুনছেন। কিন্তু হঠাৎ করে নড়ে উঠলো ফুটবিশ্ব।

মাঝমাঠ থেকে থ্রু বল পাঠিয়েছিলেন জিওভানি লো সেলসো। বদলি নামা এই মিডফিল্ডারের পাস খুঁজে নেয় লাউতারো মার্টিনেজকে। সেখান থেকে ঠাণ্ডা মাথার ফিনিশে বল জালে পাঠান লাউতারো মার্টিনেজ।

আরও পড়ুন:  শপথ নেওয়ার পর যা বললেন আসিফ নজরুল

টানা তিনটি আন্তর্জাতিক ট্রফি জিতে বিরল এক রেকর্ড গড়ে ছিল স্পেন। তবে এবার সেই রেকর্ডে ভাগ বসালো আর্জেন্টিনা। ২০২১ সালের কোপা আমেরিকা, ২০২২ সালের বিশ্বকাপ আর ২০২৪ সালের কোপা আমেরিকা জিতে স্পেনের সেই রেকর্ডে ভাগ বসালো লা আলবিসেলেস্তেরা।

শেষটা ছবির মতো সুন্দর হলো ডি মারিয়ার

ঘোষণাটা নতুন নয়, আগেরই। অধিনায়ক মেসি বলেছিলেন, ও যেন জয়ের আনন্দ নিয়ে মাঠ ছাড়তে পারে, সেই লক্ষ্য নিয়েই আমরা ফাইনাল খেলতে নামবো। ডি মারিয়াও বলেছিলেন, ওরা আমার জন্যই জিততে চায়।

এর সবকিছুই মিলে গেলে ফাইনালে। জয় দিয়েই শেষ করলেন আনহেল ডি মারিয়া। শেষটা তার জন্য হলো ছবির মতোই সুন্দর। ২০২১ সালে মারাকানায় তার গোল দিয়েই আর্জেন্টিনা শুরু করেছিল শিরোপা জয়ের এক যাত্রা। এরপর থেকে আরও দুই শিরোপা জয়ের সাক্ষী হয়েছেন। ২০২২ সালের ফিনালিসসিমা আর বিশ্বকাপের ফাইনালে গোল করেছিলেন। আজ গোল না পেলেও লিওনেল মেসির অনুপস্থিতিতে দলের পাপেট মাস্টার হয়ে ছিলেন ডি মারিয়া।

আরও পড়ুন:  মা দিবসে মাকে দিতে পারেন যেসব উপহার

কোপার ইতিহাস

১৯১৬ সালে যাত্রা শুরু করে কোপা আমেরিকা। ২০২৪ সালের ২০ জুন থেকে ১৪ জুলাই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে এর ৪৮তম আসর অনুষ্ঠিত হলো।

এর মধ্যে আর্জেন্টিনা ১৬ বার, উরুগুয়ে ১৫ বার, ব্রাজিল ৯ বার, প্যারাগুয়ে, চিলি, পেরু দুই বার করে এবং কলম্বিয়া ও বলিভিয়া একবার করে কোপার শিরোপা জেতে। এর মধ্যে সর্বোচ্চ ১৪ বার রানার্সআপ হয় আর্জেন্টিনা এবং দ্বিতীয় সর্বোচ্চর তালিকায় রয়েছে ব্রাজিল, ১২ বার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *