প্রবাসী ভোটার কার্যক্রম নিয়ে তোড়জোড় ইসির

প্রবাসী বাংলাদেশিদের জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সেবা কার্যক্রম জোরেশোরে শুরু করেছে কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর প্রবাসী ভোটার কার্যক্রমে গতি পেয়েছে।

আরব আমিরাত, ইতালি, কুয়েত, কাতার ও যুক্তরাজ্যের পর প্রবাসীদের এনআইডি সেবার লক্ষ্যে সৌদি আরবে কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে কমিশন। এক্ষেত্রে এ মাসের শেষার্ধে এনআইডি সরবরাহের কর্মসূচি চালু করা হবে।

ইসির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বিগত কমিশন ২০১৯ সালে প্রবাসে এনআইডি সরবরাহের উদ্যোগ নিলেও করোনা মহামারির কারণে এটি বন্ধ হয়ে যায়। বর্তমান কমিশন পুনরায় প্রবাসী ভোটার কার্যক্রম শুরু করেছেন। ইতিমধ্যে নির্বাচন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা যুক্তরাজ্য, ইতালি, মালয়েশিয়া, দুবাই, কুয়েত ও কাতারে গিয়ে এই এনআইডি কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন।

আরও পড়ুন:  ইরানে ভয়াবহ বিস্ফোরণ

প্রবাসী ভোটার কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এ মাসেই নির্বাচন কমিশনার মো. আনিছুর রহমান সৌদি আরবে এনআইডি কার্যক্রমটি উদ্বোধন করবেন। এজন্য আগামী ২০ থেকে ২৯ জুলাই সৌদি আরব সফর করবেন তিনি। তার সঙ্গে সিস্টেম ম্যানেজার মো. রফিকুল হক ও একান্ত সচিব শাহ মো. কামরুল হুদা সফর সঙ্গী হবেন।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাত, যুক্তরাজ্য, ইতালি, কুয়েত, কাতার, সৌদি আরব এবং মালয়েশিয়ায় প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটার হিসেবে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইতালি, কুয়েত, কাতার এবং যুক্তরাজ্যে স্মার্ট কার্ড বিতরণ উদ্বোধন করা হয়েছে।

কুয়েতে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান, যুক্তরাজ্যে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর, ইতালিতে বেগম রাশেদা সুলতানা এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেছেন। ইসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা প্রবাসী এনআইডি কার্যক্রমে যুক্ত হতে একের পর এক বিভিন্ন দেশে যাচ্ছেন।

আরও পড়ুন:  হলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলার আট বছর

পরবর্তীতে পর্যায়ক্রমে ওমান, বাহরাইন, জর্দান, সিঙ্গাপুর, লেবানন, লিবিয়া, অস্ট্রেলিয়া, মালদ্বীপ এবং কানাডায় এনআইডি কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে। ১৯৯৮ সালে দেশের উচ্চ আদালত প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সংবিধান স্বীকৃত বলে ঘোষণা দেন। দীর্ঘ ২৬ বছরেও সেই ঘোষণা বাস্তবায়নের মুখ দেখেনি।

ইসির অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ বলেছেন, মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ এবং আমেরিকা, কানাডাসহ বিশ্বের অনেক দেশে বহুসংখ্যক বাংলাদেশি নাগরিক অবস্থান করছেন। স্বাধীনতার এত বছর পরও তারা দেশে আসার সুযোগ পান না। যার ফলে ভোটার তালিকায় তাদের নাম যেমন অন্তর্ভুক্ত হয় না, তেমনি তারা জাতীয় পরিচয়পত্র থেকে বঞ্চিত। রাষ্ট্রের পরিচিতিপত্র না থাকায় নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তারা। এজন্য তাদের ভোটার করার ব্যাপারে বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতিবাচক।

আরও পড়ুন:  দীর্ঘ ৯ মাস মহাকাশে আটকা: সবচেয়ে কঠিন যে অভিজ্ঞতা জানালেন সুনিতা

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *