রহস্যের অন্ধকারে বাঙালীর মুক্তিদাতা বঙ্গবন্ধু।। বেলাল বেগ

নিউইয়র্কে মুক্তিযোদ্ধা বিজ্ঞানী ও লেখক ড. নুরন নবীর প্রতিষ্ঠিত বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের প্রথম সভায় প্রথম বক্তা হবার আমার সৌভাগ্য হয়েছিল; গর্বে মাথা আসমানে ঠেকেছিল। এখন বঙ্গবন্ধুর নামে গড়ে ওঠা কোন সংগঠনের কোন সভাতেই আমি যাবনা লাখ টাকা দিলেও; কারণ বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সংগঠন বাকশাল বেমালুম গায়েব হয়ে গেছে এবং তাঁর দেয়া বাঙালীর আদর্শ সংবিধানটিকে ধর্মের আধারে ডোবানো হয়েছে।

শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু-কন্যা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বাংলাদেশকে দুর্নীতিগ্রস্ত বুর্জোয়া শ্রেনীর আরাধ্য, পুঁজিবাদের সর্বনাশা পথে তুলে দিয়ে বঙ্গবন্ধুকে জাতীয় অঙ্গনে প্রায় গৌণ করে দিয়েছেন। কি অবাক করা কাণ্ড!

বাকশাল গঠনকালে জাতীয় পরিষদে স্বতঃস্ফূর্ত বক্তৃতায় বঙ্গবন্ধু জাতিকে সতর্ক করে বলে দিয়েছেন, ‘অ মিয়ারা! একটা কথা সাফ সাফ কয়া দেবার চাই, সাফকাপুইড়্যাদের হাত থাইকা বাঁইচা থাকবা’। সেই সাফকাপুইড়্যা বুঁর্জোয়ারাই তাঁকে সরিবার, সপারিষদ নির্ম্ম ভাবে হত্যা করেছে। আমরা মনে করি মুক্তিযুদ্ধের সকল রাজনৈতিক শক্তির সম্বয়ে গঠিত বঙ্গবন্ধুর বাকশাল ছিল বাঙালীর উদ্ভাবিত নিজস্ব ক্যমিউনিস্ট রাষ্ট্রশাসন ব্যবস্থা যা বাঞ্চাল করাই ছিল পাকি-মেরিক্যান ষড়যন্ত্র যা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার সপারিষদ ধরাধাম থেকে বিদায় করে দিয়েছে।

আরও পড়ুন:  ডিজিএফআইয়ের প্রধান হলেন মেজর জে. ফয়জুর রহমান

এখন বঙ্গবন্ধুর নৌকা ঝঞ্ঝাবহুল উত্তাল পথে নিরুদ্দেশ যাত্রায় দিশেহারা হয়ে শোষক পুজিবাদীদের খপ্পরে পরে গেছে। হাজার বছরের গোলামী থেকে বাঙালির মুক্তিদাতা বঙ্গবন্ধুকে ইতিহাসের অন্তরালে ঠেলে পাঠানো কি যুক্তি সঙ্গত হয়েছে?

লেখক-কবি, সাংবাদিক ও গবেষক।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *