কমলাপুর থেকে ছাদ ভর্তি হয়ে ছাড়ছে ট্রেন

টানা তিন দিন কড়াকড়ি বজায় থাকলেও আজ রাতে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে সেটি ধরে রাখা যায়নি। পশ্চিমাঞ্চল বিশেষ করে উত্তরবঙ্গের বেশির ভাগ ট্রেন ছিল যাত্রীতে পরিপূর্ণ। বগিতে আসন না পাওয়ায় ছাদ ভর্তি যাত্রী নিয়ে কমলাপুর ছাড়ে কয়েকটি ট্রেন

তবে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ বলছে, বাস্তবতার কারণে আর উৎসব মুখর পরিবেশের কারণে তাঁরা যাত্রীদের সঙ্গে জোর করতে পারেননি।  আজ কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস ছিল যাত্রীতে ভর্তি। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই ছিল না। এতে করে অনেকেই উঠেছেন ছাদে। ট্রেনটি রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে ছাড়ার কথা থাকলেও ৯টার পরে কমলাপুর স্টেশন ত্যাগ করে।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আখতারুজ্জামান রিপন নামে এক যাত্রী পোস্ট করেছেন, রেলের বাঁশ থেরাপিকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বিনা টিকিটের যাত্রীদের জয়জয়কার কমলাপুর স্টেশনে।  নামমাত্র বাঁশ থেরাপিতে রেলের কর্মকর্তারা কতটা পকেট ভারী করেছেন সেটাও দেখার বিষয়। ঈদ যাত্রায় সঠিক যাত্রীসেবায় রেল প্রতিবারই ব্যর্থ। এছাড়া টিকিট কেটেও আজ আসন পাননি এমন যাত্রীরা ছাদে উঠেছেন।

আরও পড়ুন:  জাতীয় নির্বাচনে ২৪১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়নি: টিআইবি

প্রতিবার বাঁশের গেট করে যাত্রীদের মধ্যে শৃঙ্খলা ফেরাতে চাইলেও শেষের দুই দিনে সেটি আর বজায় থাকে না। র‍্যাব, পুলিশ, রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীসহ রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শেষের দুই দিন অতিরিক্ত যাত্রী ঠেকাতে সবভাবেই ব্যর্থ হয়েছে।

ছাদ ভর্তি হয়ে ঢাকা ছাড়ছে মানুষ। রাতে উত্তরবঙ্গের চারটি ট্রেনই এমন যাত্রী বোঝাই হয়ে ঢাকা ছাড়বে। ঢাকা বিভাগীয় রেলওয়ের এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে গতকাল শুক্রবার জানিয়েছিলেন, শনিবার ও রোববার যাত্রী আটকানো সম্ভব নয়।

যদিও এর একদিন আগে রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বৃহস্পতিবার দুপুরে কমলাপুর রেল স্টেশন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন এবার তিনি এ প্লাস পাবেন। তবে কমলাপুরে নিয়োজিত রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, শুরুর দিকে যাত্রীসেবা মান ধরে রাখা গেলেও শেষের দিকে এসে এটি আর পারা যায় না।

আরও পড়ুন:  আরব আমিরাতের গ্র্যান্ড মসজিদে গিয়ে ট্রাম্প বললেন, ‘কত সুন্দর’

আজ দুপুরে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারওয়ার বলেন, আজকে সারা দিনে দুইটা স্পেশাল ট্রেনসহ মোট ৬৯ জোড়া ট্রেন চলাচল করবে। এই ট্রেনগুলোর মাধ্যমে এক থেকে দেড় লাখ মানুষ ঢাকা ছাড়তে পারবেন।

তিনি এটাও উল্লেখ করেন, আন্তনগরে ৩৩ হাজার ৫০০ টিকিট বিক্রি হলেও দিনে চাহিদা থাকে লাখের কাছাকাছি।

ঢাকা জেলাঢাকা বিভাগরেলওয়ে স্টেশনবাংলাদেশ রেলওয়েরেলস্টেশনকমলাপুর রেলস্টেশন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *