মুক্তিযুদ্ধের উপসেনাপতি এ কে খন্দকারের জানাজা রোববার পৌনে ২টায়

বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ও সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আব্দুল করিম খন্দকারের (এ কে খন্দকার) জানাজা রোববার (২১ ডিসেম্বর)। ওইদিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনী ঘাঁটি বাশার প্যারেড গ্রাউন্ডে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার জানাজা অনুষ্ঠিত হওয়ার পাশাপাশি গার্ড অব অনার দেয়া হবে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর)

এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের (বীর উত্তম) মৃত্যুতে এক শোকবার্তায় তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছে আইএসপিআর। এতে বলা হয়, মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ, জাতির গর্বিত কৃতী সন্তান এবং সাবেক বিমান বাহিনী প্রধান এয়ার ভাইস মার্শাল আব্দুল করিম খন্দকার (বীর উত্তম) ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার প্রয়াণে জাতি আজ গভীর শোকাহত।

আরও পড়ুন:  ‘ভিসা জটিলতা আমাদের সৃষ্ট নয়, ভারতকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে’

শোকবার্তায় আইএসপিআর জানায়, অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার শুধু একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাই ছিলেন না, তিনি ছিলেন একজন দূরদর্শী নেতাও, যিনি বাংলাদেশ বিমান বাহিনী গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে তার অটুট নিষ্ঠা, কৌশলগত বুদ্ধি এবং অদম্য চেতনা জাতির জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে আছে।

আইএসপিআর আরও জানায়, মুক্তিবাহিনীর ডেপুটি চিফ অব স্টাফ হিসেবে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকার কঠোর মুক্তিসংগ্রামের মাধ্যমে বিজয়ের দিকে পরিচালিত প্রচেষ্টাগুলোর সমন্বয় সাধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি প্রথম বিমান বাহিনী প্রধান নিযুক্ত হন এবং তার যোগ্যতম পরিচালনায় যুদ্ধ বিধ্বস্ত বিমান বাহিনী পুনর্গঠনে সক্ষম হন। বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধে দেশাত্মবোধ ও সাহসিকতাপূর্ণ অবদানের জন্য এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে ‘বীর উত্তম’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। এছাড়াও গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারকে (বীর উত্তম) মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় তার অনন্য সাধারণ ভূমিকা, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশ বিমান বাহিনীকে সুসংগঠিত করা এবং দেশ গঠনে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ‘স্বাধীনতা পুরস্কার- ২০১১’ এ ভূষিত করে।

আরও পড়ুন:  ডেপুটি স্পিকার হঠাৎ অসুস্থ, হেলিকপ্টারে আনা হলো ঢাকায়

শোকবার্তায় আরও বলা হয়, মৃত্যুকালে অবসরপ্রাপ্ত এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের (বীর উত্তম) বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। এক কন্যা ও দুই পুত্রসন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন তিনি। জাতি তার অসামান্য অবদানসমূহকে গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে ও তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *