আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সংশয়ের কোনো কারণ নেই জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেছেন, কমিশন সম্পূর্ণ প্রস্তুত এবং যথাসময়েই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সম্প্রতি সম্ভাব্য প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনাটিকে তিনি ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করে দাবি করেছেন, এতে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি।
সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর গুলশানে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, অতীতেও আহসানউল্লাহ মাস্টার বা শাহ এ এম এস কিবরিয়ার মতো নেতাদের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। হাদির ঘটনাটিও তেমনই একটি বিচ্ছিন্ন বিষয়, যা বাংলাদেশে নতুন কিছু নয়। গত ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ের অকার্যকর থানা ও পুলিশের অবস্থার সঙ্গে তুলনা করে তিনি দাবি করেন, বর্তমান পরিস্থিতি অনেক উন্নত এবং মানুষ এখন শান্তিতে চলাচল ও ঘুমাতে পারছে। তিনি আরও জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে তারা নির্বাচনের সময় সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
এবারের নির্বাচনকে ‘ঐতিহাসিক’ আখ্যা দিয়ে সিইসি বলেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছরে যা হয়নি, এবার তা করা হচ্ছে। প্রথমবারের মতো প্রবাসীদের জন্য ডাকযোগে (পোস্টাল ব্যালট) ভোট দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পাশাপাশি ভোটগ্রহণে নিয়োজিত প্রায় ১০ লাখ কর্মকর্তা-কর্মচারী, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, কারাবন্দি এবং নিজ এলাকার বাইরে কর্মরত সরকারি চাকুরিজীবীদের জন্যও পোস্টাল ব্যালটে ভোটাধিকার নিশ্চিত করা হচ্ছে। এছাড়া নির্বাচনের সঙ্গে একটি গণভোট আয়োজনের কথাও তিনি উল্লেখ করেন।
নির্বাচন নিয়ে জনমনে থাকা সব ধরনের দুশ্চিন্তা ঝেড়ে ফেলার আহ্বান জানিয়ে সিইসি বলেন, কমিশন জাতিকে দেওয়া ওয়াদা অনুযায়ী অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন উপহার দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তরুণ প্রজন্মের ওপর ভর করে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশনের একার পক্ষে সফল হওয়া সম্ভব নয়; তাই একটি বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের জন্য তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবার সহযোগিতা কামনা করেছেন।







