উজ্জল আলোর মতো দ্যুতিময় কাবা, নভোচারীর তোলা ছবি ভাইরাল

ইসলাম ধর্মাবলম্বীদের প্রধান এবং সবচেয়ে পবিত্র মসজিদ কাবা’র একটি ছবি তুলে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন ডন পেটিট নামে এক নভোচারী। ছবিতে কাবা’কে উজ্জল আলোর মতো দ্যুতিময় দেখাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের (আইএসএস) কুপোলা উইন্ডো থেকে নিজের হাই রেজোল্যুশন ক্যামেরা ব্যবহার করে কাবা’র ছবি তুলেছিলেন পেটিট। ভূপৃষ্ঠ থেকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন ৪০০ কিলোমিটার ওপরে অবস্থিত। পেটিটের এই ছবি প্রমাণ করছে যে পৃথিবী থেকে ৪ শ’ কিলোমিটার দূরত্বেও কাবা দৃশ্যমান।

আইএসএসে চতুর্থতম বারের মতো মিশনের দায়িত্ব শেষ করে কয়েক মাস আগে যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে এসেছেন ডন পেটিট। সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে কাবার ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। ক্যাপশনে লিখেছেন, “মহাকাশ স্টেশনের অক্ষপথ থেকে তোলা সৌদি আরবের মক্কার ছবি। ছবির মাঝখানে সবচেয়ে উজ্জল যে অংশটি দেখা যাচ্ছে, সেটি ইসলাম ধর্মের সবচেয়ে পবিত্র স্থান কাবা’র ছবি। মহাকাশ থেকেও কাবা দৃশ্যমান।”

আরও পড়ুন:  প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন আলী রীয়াজ

ডন পেটিট ছবিটি এক্সে শেয়ার করা মাত্র সেটি ভাইরাল হয়ে যায়। ছবিতে উজ্জল কাবা’র চারপাশ ঘিরে মাকড়শার জালের মতো অপেক্ষাকৃত কম উজ্জল আলোকমালাও দৃশ্যমান। পেটিট বলেছেন, এই আলোকামালা কাবার চারপাশের মরুভূমি থেকে আসা।

পেশায় নভোচারী ডন পেটিট একজন শৌখিন আলোকচিত্রী। এর আগেও মহাকাশ স্টেশনে অবস্থান করার সময় বেশ কিছু ছবি তুলেছেন তিনি। ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরে পেটিটকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠিয়েছিল নাসা, মিশন শেষ করে তিনি পৃথিবীতে ফিরে আসেন ২০২৫ সালের এপ্রিলে।

প্রতি বছর হজ করতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে মক্কায় যান লাখ লাখ মুসল্লি। এর বাইরে ওমরাহ পালনের জন্য বছরজুড়ে মক্কায় যান মুসল্লিরা। বছরে প্রায় প্রতিদিন দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা মুসল্লিদের পদচারণায় মুখর থাকে কাবা চত্বর। নিরাপত্তা ও মুসল্লিদের সুবিধার্থে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোরবেলা পর্যন্ত সোডিয়াম আলোয় উজ্জল থাকে কাবা চত্বর।

আরও পড়ুন:  এগিয়ে আনা হলো ঢাকামুখে ‘লংমার্চ’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন

পৃথিবীর ঘূর্ণনগতির সঙ্গে তাল রেখে নিজ অক্ষপথে ঘণ্টায় ২ হাজার ৮০০ কিলোমিটার গতিতে ছুটছে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন। পেটিট জানিয়েছেন, আইএসএস যখন আরব উপদ্বীপ অতিক্রম করছিল, সেসময় তাৎক্ষণিকভাবে ছবিটি তুলেছিলেন তিনি।

সূত্র : ইন্ডিয়া টুডে

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *