যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে দেশটির উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন সৌদি আরবের ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। সোমবার (১৭ নভেম্বর) দেশ ছাড়েন প্রিন্স সালমান।

সরকারি বার্তাসংস্থা সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) জানিয়েছে, বাদশা সালমানের নির্দেশে ও মার্কিন প্রেসিডেন্টের আমন্ত্রণে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যাচ্ছেন।

মার্কিন এফ৩৫ যুদ্ধবিমান পেতে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে হবে সৌদির- শর্ত ইসরায়েলের

এদিকে প্রিন্স সালমানের সফরে সৌদি আরব ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যুদ্ধবিমান বিক্রির চুক্তি হতে পারে। চুক্তি হলে সৌদিকে নিজেদের অত্যাধুনিক এফ-৩৫ বিমান দেবে মার্কিনিরা। তবে দখলদার ইসরায়েল যুক্তরাষ্ট্রকে শর্ত দিচ্ছে— সৌদি যদি এফ-৩৫ চায় তাহলে তাদের সঙ্গে রিয়াদের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করতে হবে।

আরও পড়ুন:  মোদিকে হোয়াইট হাউসে আমন্ত্রণ জানালেন ট্রাম্প

 এতে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান চুক্তি, নিরাপত্তা চুক্তি এবং ইসরায়েল-সৌদি সম্পর্ক স্থাপনসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা হবে।

গত মাসে এক ফোনকলে সৌদির ক্রাউন প্রিন্সকে ট্রাম্প জানান, এখন যেহেতু গাজার যুদ্ধ শেষ হয়েছে, তাই সৌদি চাইলে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করতে পারে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন, সৌদি-ইসরায়েল শিগগিরই কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করবে।

গত শুক্রবারও সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প একই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।

সৌদি আরবের কাছে যুক্তরাষ্ট্রের যুদ্ধবিমান বিক্রির সরাসরি বিরোধীতা করছে না ইসরায়েল। তবে দখলদাররা শর্ত দিচ্ছে, সৌদি যদি মার্কিনিদের অত্যাধুনিক বিমান চায় তাহলে তাহলে তাদের সঙ্গে আগে সম্পর্ক গড়তে হবে।

এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা গত শনিবার সংবাদমাধ্যম এক্সিওসকে বলেন, “আমরা ট্রাম্প প্রশাসনকে বলেছি সৌদিকে এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান দেওয়ার সঙ্গে ইসরায়েল-সৌদির সম্পর্ক স্থাপন শর্ত রাখতে হবে। যদি কোনো কূটনৈতিক বিনিময় ছাড়া সৌদিকে এফ-৩৫ দেওয়া হয় তাহলে এটি ভুল এবং হিতেবিপরীত হতে পারে।”

আরও পড়ুন:  পুলিশের ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে বড় রদবদল

অপর এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা এক্সিওসকে বলেছেন, “তুরস্কের কাছে এফ-৩৫ বিক্রির তীব্র বিরোধীতা করলেও সৌদির কাছে এ অস্ত্র যাওয়া নিয়ে আমরা এতটা উদ্বিগ্ন নই। যদি এগুলো আব্রাহাম চুক্তির আঞ্চলিক নিরাপত্তা সহযোগিতার অংশ হয়।”

এদিকে ২০২০ সালে দখলদারদের সঙ্গে আব্রাহাম চুক্তির মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে এফ-৩৫ বিক্রিতে সম্মতি দেয় ইসরায়েল। কিন্তু এক্ষেত্রে তারা বিভিন্ন নিরাপত্তা চুক্তির শর্ত জুড়ে দিয়েছিল। এতে করে যুক্তরাষ্ট্র ও আমিরাতের মধ্যে এখনো যুদ্ধবিমান কেনা সংক্রান্ত চুক্তি হয়নি।

মধ্যপ্রাচ্যে শুধুমাত্র ইসরায়েলের কাছেই এখন এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান আছে।

সূত্র: এসপিএ/এক্সিওস

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *