ভারতের নয়াদিল্লির লালকেল্লার কাছে আত্মঘাতী বোমা হামলাকারীর সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। গত সপ্তাহে লালকেল্লার কাছে গাড়ি বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে অন্তত ১২ জন নিহত হন।
গ্রেপ্তার ব্যক্তি নাম আমির রশীদ আলী।
রোববার (১৬ নভেম্বর) ভারতের সন্ত্রাসবিরোধী সংস্থা ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সি (এনআইএ) হামলাকারীর সহযোগীকে গ্রেপ্তারের তথ্য জনিয়েছে। তারা বলেছে, হামলাকারী ও গ্রেপ্তার ব্যক্তি দুজনের বাড়িই জম্মু ও কাশ্মিরে।
শক্তিশালী এ বোমা হামলার পর কাশ্মিরের বিভিন্ন জায়গায় গত কয়েকদিন ধরে ব্যাপক তল্লাশি অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
বোমা হামলার তদন্তে ‘ব্রেকথ্রু’ পাওয়ার ঘোষণা দিয়ে এনআইএ বলেছে, যে গাড়ি দিয়ে বোমার বিস্ফোরণ ঘটানো হয় সেটি আমির রশিদ আলীর নামে নিবন্ধন করা ছিল।
সংস্থাটি বিবৃতিতে বলেছে, “আমির রশীদ দিল্লিতে এসে গাড়ি কেনার কাজটি সম্পন্ন করেন। এরপর এ গাড়িতে রাখা ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইসের মাধ্যমে বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।”
গাড়িতে যখন বিস্ফোরণ তখন এটি চালাচ্ছিলেন উমর উন-নবী নামে এক ব্যক্তি। পেশায় চিকিৎসক কাশ্মিরের এ বাসিন্দা হরিয়ানার একটি হাসপাতালে সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
গত সোমবার লালকেল্লার ব্যস্ত মেট্রো স্টেশনের খুব কাছে গাড়ি বিস্ফোরিত হয়। ওই সময় সেখানে কয়েক হাজার মানুষ ছিলেন। স্থানটি ভারতের জন্য বেশ গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর দেশটির প্রধানমন্ত্রী লালকেল্লা থেকে স্বাধীনতা দিবসের ভাষণ দেন।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানিয়েছে বিস্ফোরণে ১২ জন নিহত হয়েছেন। তবে এ ১২ জনের মধ্যে হামলাকারী রয়েছেন কি না সেটি স্পষ্ট নয়।
কিন্তু এনআইএ জানিয়েছে, ওই বোমা বিস্ফোরণে ১০ জন নিহত এবং ৩২ জন আহত হয়েছেন।
গত ২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মিরের পেহেলগামে সন্ত্রাসীদের হামলায় ২৬ পর্যটক নিহত হয়। এরপর ভারতে লালকেল্লার বিস্ফোরণ ছিল সবচেয়ে বড় সন্ত্রাসী হামলা।
সূত্র: এএফপি







