শীতকালে নিম্ন তাপমাত্রা, শুষ্ক বাতাস, ধুলা-বালু ও ধোঁয়া বাড়ে। পাশাপাশি কুয়াশা ও বদ্ধ পরিবেশ শ্বাসতন্ত্র সংকুচিত করে অ্যাজমার লক্ষণকে বাড়িয়ে তোলে।
- বাইরে বের হওয়ার সময় নাক–মুখ স্কার্ফ বা মাস্ক দিয়ে ঢেকে রাখুন, যাতে বাতাস কিছুটা গরম ও আর্দ্র হয়ে ফুসফুসে প্রবেশ করে।
- খুব ভোর ও গভীর রাতে তাপমাত্রা কম থাকে, তাই এই সময় বাইরে ব্যায়াম বা ঘোরাঘুরি এড়িয়ে চলুন।
- শরীর গরম রাখতে উপযুক্ত শীতের পোশাক পরুন।
- ঘরের জানালা–দরজা বন্ধ থাকলে ধুলা, ডাস্ট মাইট ও ছত্রাক জমে। তাই ঘরে পর্যাপ্ত আলো–বাতাস প্রবেশের সুযোগ রাখুন।
- হিটার ব্যবহার করলে বাতাস যেন অতিরিক্ত শুষ্ক না হয়, তা খেয়াল রাখুন। প্রয়োজনে হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করুন।
- মশার কয়েলের ধোঁয়া, তামাক ও সিগারেটের ধোঁয়া সম্পূর্ণভাবে পরিহার করুন।
- রিলিভার ইনহেলার সবসময় সঙ্গে রাখুন এবং প্রয়োজনে চিকিৎসকের নির্দেশ অনুযায়ী ব্যবহার করুন।
- চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী প্রতিনিয়ত নিয়ন্ত্রক ওষুধ বা প্রিভেন্টিভ ইনহেলার গ্রহণ করুন।
- ফ্লু ও নিউমোনিয়ার টিকা নিন, কারণ শীতকালে ভাইরাস সংক্রমণ অ্যাজমা আরো বাড়িয়ে দেয়।
- সংক্রমণ এড়াতে নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন এবং অসুস্থ মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকুন।
- শরীর হাইড্রেটেড রাখতে পর্যাপ্ত উষ্ণ পানি বা ক্যাফেইনমুক্ত গরম পানীয় পান করুন, এতে শ্বাসনালীর শ্লেষ্মা পাতলা থাকে।
অতিরিক্ত সতর্কতা
ঘর পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন রাখা জরুরি। লেপ–তোশক, বালিশ, বিছানাপত্র রোদে শুকিয়ে নিন। দিনে কয়েকবার স্বাভাবিক বা হালকা গরম পানি পান করুন। এটি কফ পাতলা করে, ফলে কাশি ও শ্বাসকষ্ট কমে। সবচেয়ে জরুরি—চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী নিয়মিত ওষুধ সেবন।







