চট্টগ্রামে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। এসময় সাতজনকে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার বিকেলে নগরের দুই নম্বর গেইটের চশমা হিলের বাসভবনে তল্লাশি চালানো হয়। এদিকে নগরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে চৌকি বসিয়ে যানবাহন ও সন্দেজনক লোকজনকে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, আগামী ১৩ নভেম্বর কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের ঘোষিত লকডাউন কর্মসূচি সফল করতে মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসায় ছাত্রলীগ-যুবলীগ নেতাকর্মী জড়ো হয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছেন জানিয়ে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়েছেন একজন জুলাইযোদ্ধা। এর সূত্র ধরে পুলিশ নওফেলের বাসায় তল্লাশি চালায়। বাসায় নওফেলের পরিবারের কাউকে পাননি তারা। তবে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তারা নওফেলের ছোট ভাই বোরহানুল হাসান চৌধুরীর মালিকানাধীন ক্যাফে মিলানোর কর্মচারী।
নগরের দুই নম্বর গেইটের ইয়াকুব ট্রেড সেন্টারে অবস্থিত রেস্তোরাঁটি গত বছরের ৫ আগস্টের পর বন্ধ হয়ে যায়। কর্মচারীরা নওফেলের বাসায় খাবার তৈরি করে ফুডপান্ডার মাধ্যমে গ্রাহকদের সরবরাহ করতেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলাইমান বলেন, ‘একজন জুলাইযোদ্ধার ফেসবুক স্ট্যাটাসের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে তল্লাশি চালানো হয়েছে। এখানে ছাত্রলীগ-যুবলীগের কাউকে পাওয়া যায়নি। সাতজন, যাদের আটক করা হয়েছে তারা বোরহানের রেস্তোরাঁর কর্মচারী। তাদের কাছ থেকে ফুডপান্ডার মেশিনও জব্দ করা হয়েছে। আরও যাচাই-বাছাইয়ের জন্য তাদের থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।’
এদিকে নগরের বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে তল্লাশি চালিয়েছে পুলিশ। আগের দিন মঙ্গলবার টহল ও থানা পুলিশদের উদ্দেশ্যে কড়া বার্তা দেন সিএমপি কমিশনার হাসিব আজিজ। অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীদের দেখলেই সাব মেশিন গান দিয়ে সন্ত্রাসীদের ব্রাশ ফায়ারে হত্যার নির্দেশ দেন তিনি। পাশাপাশি তল্লাশি চৌকি বাড়ানোর নির্দেশ দেন। পুলিশ কমিশনারের এমন নির্দেশনার পর নগরের বিভিন্ন এলাকায় সাঁড়াশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। চালানো হয় তল্লাশিও।







